নয়াদিল্লি: কৃষক বিক্ষোভের (Farmer’s Protest) জেরে দিল্লি-গুরুগ্রাম (Delhi-Gurugram) সীমান্তে থমকে গিয়েছে গাড়ি চলাচল৷ দিল্লি থেকে গুরুগ্রাম যাওয়ার রাস্তায় শ’য়ে শ’য়ে গাড়ির চাকা স্তব্ধ হয়ে পড়ে৷ সোমবার সকালে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে তাই চূড়ান্ত নাকানি-চোবানি খেতে হয় মানুষকে৷ কয়েক মিটার পথ যেতেই অনেক সময় চলে যায়৷ বেলা যত গড়াতে থাকে গাড়ির চাপও বাড়তে থাকে৷ এত গাড়ির চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্র্যাফিক পুলিশকেও (Traffic Police)৷
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে রাজস্থানে বন্ধ ইন্টারনেট, ব্যবসায়ে ক্ষতি ১০০ কোটি
কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ সেই বনধকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, বিএসপি, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, তেলেগু দেশম পার্টি এবং বামেরা৷ আজ সকাল থেকে বনধের প্রভাব পড়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির একাংশে৷ বনধের জেরে গণপরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল৷ সেই মত অনেক জায়গাতে রেল এবং রাস্তা অবরোধ করে বনধ সমর্থকরা৷
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় গুরুগ্রাম-দিল্লি সীমান্তে৷ কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল একদমই থমকে গিয়েছে৷ গাজিপুর সীমান্তে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ৷ ফলে অনেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হন৷ ওই গাড়ির চাপ গিয়ে পড়ে অন্যান্য রাস্তায়৷
আরও পড়ুন: প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ডিজিটাল হেলথ কার্ড, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
তবে দিল্লিতে বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি বলে দাবি পুলিশের৷ অটোরিক্সা, ট্যাক্সি, বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে৷ খুলেছে দোকান-বাজার হাট৷ তবে বিভিন্ন সংগঠনগুলি নৈতিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে আছে বলেই জানিয়েছে৷ আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ৷ চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত৷ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (Samyukta Kisan Morcha) ডাকে ৪০টি কৃষক সংগঠন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে৷ ভারত বনধের তেমন প্রভাব সারা দেশে পড়েনি৷ বিক্ষিপ্তভাবে বনধকারীরা জোর করে রাস্তা এবং রেল অবরোধ করে৷ তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে আবার সব স্বাভাবিক হয়৷