Friday, September 5, 2025
HomeScrollCAA, অসমে নাগরিকত্ব পেয়েছে তিনজন, বিবৃতি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

CAA, অসমে নাগরিকত্ব পেয়েছে তিনজন, বিবৃতি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

 সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিবৃতি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

ওয়েবডেস্ক- তিনজন সিএএ – (CAA) অধীনে মাত্র তিনজনকেই নাগরিকত্ব (Citizenship) দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Ministry of Home Affairs) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে  আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানরা শরণার্থীর মর্যাদা পাবে। ভারত তাদের তাড়িয়ে দেবে না। নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের অধীনে আবেদনের জন্য ভারতে প্রবেশের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর অসম সরকার এই বিবৃতি প্রকাশ করে।

অসমের জন্য  এই তারিখের মেয়াদ বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাজ্যের মানুষের আশঙ্কা ছিল CAA-এর অধীনে শত শত অভিবাসী নাগরিকত্ব পাবেন।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সিএএ-অধীনে অসমে তিনজন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কাছে ১২টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৯টি বিবেচনাধীন।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও জানিয়েছেন, অসমে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্ব পাবে বলে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছিল। এখন আপনারা সিদ্ধান্ত নিন যে মাত্র ১২টি আবেদন জমা পড়ার পর CAA নিয়ে আলোচনা করা প্রাসঙ্গিক কিনা?

অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫০ বছর বয়সী দুলন দাস হলেন অসমের প্রথম ব্যক্তি যিনি অগাস্ট ২০২৪- সিএএ এর অধীনে নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

আরও পড়ুন- সিএএ আইনে বড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার!

গত বছর কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)-এ বলা হয়েছিল নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সদস্যরা যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে এসেছিলেন, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই আইনে বৈষম্যমূলক আচরণের কথা তুলে ধরে প্রতিবাদ চালায় মানবধিকার সংগঠনগুলি। গত বছরের ১১ মার্চ, সংসদে আইনটি পাস হওয়ার চার বছর পর, নথিভুক্ত অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, কেন্দ্র নিয়মগুলি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিএএ বাস্তবায়ন করে।

গত বছরের জুলাই মাসে, আসাম সরকার তার সীমান্ত পুলিশ শাখাকে ২০১৫ সালের আগে রাজ্যে প্রবেশকারী অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের মামলাগুলি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে (FTs) না পাঠানোর এবং পরিবর্তে CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। গত মাসে, রাজ্য সরকার সমস্ত জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে যে CAA বাস্তবায়নের পর ২০১৫ সালের আগে রাজ্যে সন্দেহভাজন অমুসলিম অবৈধ বিদেশীদের প্রবেশের চলমান মামলাগুলি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে থেকে বাদ দিতে।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News