
সঞ্জীব কুমার দাস, মেদিনীপুর: আরজি কর (RG kar ) কাণ্ডের পর থেকে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলাগুলি হাসপাতালগুলি নড়েচড়ে বসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলির সঙ্গে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঝাড়গ্রাম (Jhargram), বাঁকুড়া Bakura) সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (hospital) নিরাপত্তা পরিকাঠামো কতটা তৈরি হল তা খতিয়ে দেখতে দুদিন ধরে বৈঠক হল মেদিনীপুর শহর জেলা শাসকের দফতরের।
বৈঠকে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিকিউরিটির অডিট কমিটির আধিকারিরা।
জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ সকলকে নিয়ে টানা দুদিন ধরে দীর্ঘ বৈঠক হল মেদিনীপুরে। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের হসপিটাল সিকিউরিটি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম, রাজ্যস্তরীয় আরও বিভিন্ন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ইডির হাতের গ্রেফতার প্রয়াগ গ্রুপের কর্ণধার বাসুদেব বাগচী সহ ছেলে অভীক
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ছিলেন বাঁকুড়া জেলার স্বাস্থ্যকর্তা ও আধিকারিকরাও। পাশাপাশি এই বৈঠকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের একটি টিমও হাজির হয়। কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নিজেদের একাধিক দাবি তুলে ধরেছেন তাঁরা।
সোমবার ঝাড়গ্রামের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়া পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
হাসপাতাল গুলিতে “রাতের সাথী” প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেটা দেখা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতগুলি সিসিটিভি মোতায়েন হয়েছে, বিশ্রাম কক্ষ কতগুলি হয়েছে, কত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে-সেগুলি আলোচনাতে উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামো ও রাতের সাথী প্রকল্পের কাজ কতখানি হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখানে যতটুকু বাকি আছে দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। দুদিন ধরে এগুলি পর্যালোচনা বৈঠক ছিল।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে অনিক দাস বলেন-“রাতের সাথী প্রকল্পে যে সমস্ত নির্মাণ নতুন করে হয়েছে, মাঝে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে তা এখনও হ্যান্ডওভার করা হয়নি আমাদের। আমরা এই সম্পর্কিত আরও বেশ কিছু দাবি করেছি।
বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সহ বিভিন্ন নতুন দায়িত্বে যাদের যা করার কথা ছিল তারা সেটা শুরু করলে ভালো হয়। আমরা সেটা দাবি করেছি, আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন সেটা। আমরা ছাত্রছাত্রী,রোগী হাসপাতালের উন্নত পরিষেবার জন্য সমস্ত দাবি রেখেছি। আধিকারিকরা তাতে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন।”
প্রথম দুদিন জেলাশাসকের অফিসে মিটিং করে, তারপর গতকাল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে সশরীরে হাজির হন নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
দেখুন অন্য খবর: