ওয়েবডেস্ক- রাতের অন্ধকারে গুটিকয়েক তৌহিদী জনতা ছায়ানট (Chhayanaut) ভবনে ঢুকে আগুন দিয়েছিল। সকল বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিয়েছিল। পুড়িয়ে দিয়েছিল ওয়াহিদুল হক ভাই, সনজিদা খাতুন মিনু আপা, লালন সাঁইজির পোট্রের্ট!
আজ দিনের আলোতে হাজার হাজার মানুষ ছায়ানটের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলার মানুষ অংশ নিয়েছে, আবহমান বাংলা সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে গানে গানে সংহতি-সমাবেশ এ (Solidarity Rally with songs) ।
সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, করিমের গান হয়েছে। হয়েছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, হয়েছে দেশের গান, জাগরণের গান।

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক হামলা চালায় তারা। ছায়ানটের প্রধান প্রবেশপথে টেবিল পেতে হারমোনিয়াম, খোল, তবলা বাদ্যযন্ত্র স্থাপন করে যন্ত্রশিল্পীরা বাজান করছিলেন। গানের দল অংশ
ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসার সঙ্গে ছায়ানটের শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, দেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী, চারুশিল্পী, দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী, স্থপতি, আলোকচিত্রী, শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, পরিবেশকর্মী, সংস্কৃতিসেবীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। খুব পরিকল্পতি আয়োজন ছিল। বিরতিহীন ভাবে এক নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সকলেই সমবেতভাবে কন্ঠ মেলান।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে আটকে ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়ারা জরুরি হস্তক্ষেপের দাবিতে মোদীকে চিঠি
ছাশিল্পীরা গেয়ে ওঠেন ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম, মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল’, ‘চল চল চল, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে’। এগিয়ে চলার এমন প্রত্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে গানের কথায় প্রকাশিত হয়েছে গভীর দেশপ্রেম, উদ্ভাসিত হয় বাংলার প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, এসেছে বরাভয়, আপন কর্তব্যে অটল থাকার প্রেরণা।
দেখুন আরও খবর-







