ওয়েবডেস্ক- বিজেপি শাসিত রাজ্যে (BJP-ruled states) বড়দিন পালন, সান্তাক্লজের টুপি (Santa Claus hat) পরা নিয়ে ক্ষুব্ধ সনাতনীরা। তারা ধমকে চমকে, পিটিয়ে সেই সব অনুষ্ঠান বন্ধ করার ফতোয়া দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আমাদের বাংলাতে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসলে কি বড়দিন উদযাপন উঠে যাবে?
২০২৬ এর ভোটের আগে একের পর এক নিদান পদ্মশিবিরের। বেশ কয়েকদিন কলকাতা শহরে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ আয়োজন করে পদ্ম শিবির। অনুষ্ঠানে দুই প্যাটিস বিক্রেতার উপর চড়াও হয় বিজেপি নেতাকর্মীরা। কেনো চিকেন প্যাটিস বিক্রি হবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে? যার পর নাই হেনস্থা হতে হয় বিক্রেতাদের। এখানেই শেষ নয়, এবার সনাতনীদের গোঁসা সান্টাক্লজের টুপি পরা নিয়ে। সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল বিজেপি শাসিত ওড়িশা। হিন্দু রাষ্ট্রে সান্টা ক্লজের টুপি বিক্রি করা চলবে না এই ফতোয়া দিয়েছে তারা। এই ফতোয়া জারি করে দরিদ্র হকারদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে। এমনকী বিক্রেতার ধর্মীয় বিচার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। বড়দিনে রাস্তার ধারে সান্টাক্লজের টুপি বিক্রি করছিলেন কয়েকজ্ন হকার।
আচমকা দুই যুবক এসে তাদের হুমকির সুরে বলেন, এটা হিন্দুরাষ্ট্র। এখানে খ্রিস্টানদের জিনিসপত্র বিক্রি করা যাবে না। এরপরেই দুই বিক্রেতা হিন্দু কিনা তা জানতে চায় তারা। বিক্রেতারা জানান তারা হিন্দু। পেটের দায়ে এই কাজ করছেন। তখনই দুই যুবকের মধ্যে একজন বলে, এখানে শুধুমাত্র প্রভু জগন্নাথের শাসন চলে। হিন্দু হয়ে কেন এই কাজ করছ? এখান থেকে এখনই চলে যাও। প্রভু জগন্নাথের সামগ্রী বিক্রি করুন।’ হকাররা জানান তারা, রাজস্থান থেকে এখানে এসেছেন। তাতে অবশ্য সনাতনীদের মন গলনি। তাদের হুঁশিয়ারি, রাজস্থানের জিনিসপত্র ওড়িশায় বিক্রি করলে কোনও সমস্যা নেই। তবে খ্রিস্টান ধর্মের সামগ্রী বিক্রি চলবে না।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগরে শুভেন্দুর সভা নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!
বিজেপির এই ধরনের আচরণ আজকের নয়। এর আগেও তাদের একাধিক কর্মকাণ্ড মানুষের সামনে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে। ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করা নিয়েও তাদের আপত্তি। ভালোবাসার দিনে যুগলদের একসঙ্গে দেখলেই ক্ষেপে ওঠেন সনাতনীরা। তাদের বক্তব্য, এইগুলি সব পশ্চিমা সংস্কৃতি। যুগলদের নানা ভাবে হেনস্থা করে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
প্রসঙ্গত, বিজেপির এই ধরনের আচরণ মানুষের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলছে। কারণ আজীবন কাল ধরে বাংলা সহ গোটা দেশেই মানুষ একে অপরের উৎসবে শামিল হয়েছে। এগুলি সাধারণ মানুষের কাছে একটি উৎসাহ-উদ্দীপনার একটি অংশ। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, বিজেপি সকলের মধ্যে বিভাজন ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তখন মানুষ অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। আগামীদিনে বিজেপির এই ধরনের আচরণ তাদের দলকে অনেকটা ব্যাফফুটে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন আরও খবর-







