দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি জায়গা জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ শাসক দলের এক শ্রেণীর নেতাদের মদতেই রাতারাতি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে ভাঙড়ের সমস্ত সরকারি জায়গা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন কোনভাবেই সরকারি জায়গা জবর দখল করা যাবে না। এমনকি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে সরকারি জমি দখল, অভিযোগ বিরোধীদের।
গত কয়েকদিন ধরে বাসন্তি হাইওয়ের পাশে ঘটকপুকুর বাজারের কাছে সেচ দফতরের জায়গা জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ যত দিন যাচ্ছে বাসন্তী হাইওয়ের পাশে বাগজোলা ময়লা খালের ধারের জমি দিনের পর দিন জবরদখল করে বিভিন্ন ধরনের দোকান গড়ে তোলা হচ্ছে। ওই এলাকায় অ্যাসবেস্টারের চাল দেওয়া ঝুপড়ি দোকান ছিল। এখন সেই দোকান ভেঙে খালের ভেতর থেকে কংক্রিটের পিলার দিয়ে নতুন করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভকে আন্তর্জাতিক পর্যটনে নিয়ে যেতে ‘ডোম সিটি’ গড়ছে যোগী সরকার
বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের এক শ্রেণীর নেতাদের মদতে খালপাড়ের সমস্ত জায়গা জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না
এ বিষয়ে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অবনী মণ্ডল বলেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন সরকারি জায়গা জবরদখল করা যাবে না। সেখানে তাঁর দলেরই এক শ্রেণীর নেতারা টাকা পয়সা নিয়ে এসব করাচ্ছে। ভাঙড়ের সর্বত্র একই জিনিস চলছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে সিপিআইএম নেতা রশিদ গাজী বলেন বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর সুন্দরবনের গেটওয়ে এখানে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে যার ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে, যার জন্য ৪ লিনের বা ৬ লেলিনের রাস্তা হওয়া প্রয়োজন ।এখানে যদি অবৈধভাবে কন্ট্রাকশন হয় তাহলে সর্বনাশ হবে।
এ বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি। তাছাড়া বাসন্তী হাইওয়ে সম্প্রসারণের কাজ। খুব দ্রুত শুরু হবে। ইতিমধ্যে পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। যাঁরা বেআইনি নির্মাণ করছেন, তাঁরা খুব বেশি লাভবান হবেন না। সব ভাঙা পড়বে।
দেখুন অন্য খবর