জয়নগর: সিপিএম নেতাদের (CPM Leaders) পর এবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও (Nawsad Siddique) জয়নগরে (Joynagar) যেতে দিল না পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে নওশাদকে মঙ্গলবার বিকেলে গোচারণেই আটকে দেয় পুলিশ। অফিসারদের সঙ্গে আইএসএফ বিধায়কের তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। তিনি কেন আটকানো হচ্ছে, তার কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তাঁকে কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, উপরতলার নির্দেশ আছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই আপনাকে যেতে দেওয়া হবে না।
এদিন এর আগে সিপিএমের প্রবীণ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীদেরও জয়নগরের গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। সিপিএম নেতাদের সঙ্গেও পুলিশ অফিসারদের তর্কাতর্কি চলে। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশকে ঠেলেই দলবল নিয়ে সিপিএম নেতারা এগিয়ে যান। মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি করেন পুরুষ পুলিশকর্মীরা। তা নিয়েও বাম নেতারা ক্ষোভ উগড়ে দেন।
আরও পড়ুন: সইফুদ্দিনকে খুনের কথা শিকার শাহরুলের
সোমবার জোড়া খুনের পর মঙ্গলবারও গ্রামের পরিস্থিতি ছিল যথেষ্ট থমথমে। গ্রামে এদিনও পুরুষ মানুষ চোখে পড়েনি। গতকাল তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পর জনতা তাড়া করে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতার মারে এক দুষ্কৃতী মারা যায়। জনতা পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় অনককে মারধর করা হয়। আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএম নেতাদের দাবি, আক্রান্তরা তাদের সমর্থক। যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, কোনও বসতবাড়ি ভাঙচুর হয়নি।
এদিকে এদিন বর্ধমানে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রমাণ লোপাট করতে হবে বলেই সিপিএম এবং আইএসএফ নেতাদের পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। বীরভূমের বগটুইয়েও এমনটাই হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জয়নগরে গিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন। ভাইপোও যাবেন। তবে তাঁর আবার চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। লুঠের টাকা আছে। তিনি সেই টাকা বিলি করবেন।
আরও অন্য খবর দেখুন