skip to content
Sunday, February 9, 2025
HomeScroll১৪ বছর জেল খাটার পর কেন সর্বোচ্চ শাস্তি পেয়েছিলেন ধনঞ্জয়?
Dhananjay Chatterjee

১৪ বছর জেল খাটার পর কেন সর্বোচ্চ শাস্তি পেয়েছিলেন ধনঞ্জয়?

জেলের অন্ধকারে জীবনের অনেকটা সময় পার করে ফেলেছিলেন ধনঞ্জয়

Follow Us :

ওয়েব ডেস্ক: ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় (Dhananjay Chatterjee), পশ্চিমবঙ্গের বুকে এমন একজন, যাকে নিয়ে বাঙালি একদিন সরব হয়েছিল। আবার ফাঁসির পরও তাঁকে ঘিরে তৈরি সিনেমা দেখতে ছুটছে প্রেক্ষাগৃহেও। কলকাতায় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মামলা ভারতের ইতিহাসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা হয়েই রয়ে গেছে। হেতাল পারেখ হত্যা মামলায় (Hetal Parekh Rape And Murder Case) তাঁর গ্রেফতার থেকে ফাঁসি (Death Sentence) পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহকে টেনে নানা বিতর্ক তৈরির সুযোগ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী ছিল এই মামলায়? চলুন একটু ফিরে দেখা যাক।

সালটা ১৯৯০, দিনটা ৫ ই মার্চ। কলকাতার আনন্দ অ্যাপার্টমেন্টে মাত্র ১৮ বছর বয়সী হেতাল পারেখকে ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে খুন করা হয়। ঘটনার পর, হেতালের পরিবার জানায়, সে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় তাঁর উপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে। ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, যিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন, তিনিই একমাত্র জড়িত। তাই সন্দেহভাজন হিসেবে সবার আগে উঠে আসে ধনঞ্জয়ের নাম। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশ ধনঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। যদিও বারবার তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু হেতালের মা-বাবার বক্তব্য এবং ফরেনসিক প্রমাণ (Forensic Evidence) তাঁকে অপরাধী হিসেবে দায়ী করে।

আরও পড়ুন: কোন ১১ প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত?

আলিপুর আদালতে (Alipore Court) শুরু হয় বিচার। বিচার প্রক্রিয়ার শেষে আলিপুর আদালত ধনঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়। ধনঞ্জয় এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেন। তবে, দুই আদালতেই তাঁর শাস্তি বহাল থাকে। শেষে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন জানান। তাও খারিজ করা হয়। কিন্তু ততদিনে কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। জেলের অন্ধকারে জীবনের অনেকটা সময় পার করে ফেলেছিলেন ধনঞ্জয়। শেষমেষ ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে (Alipore Central Jail) তাঁর ফাঁসি হয়। এটি স্বাধীন ভারতের প্রথম ফাঁসি কার্যকর হওয়া মামলা হিসেবে পরিচিত হতে থাকে সেদিন থেকেই।

তবে মৃত্যুর পর ধনঞ্জয়ের বিচারের জন্য সরব হয় মানুষজন। আসলে এখনও অনেকেই দাবি করেন যে ধনঞ্জয় নির্দোষ ছিলেন এবং প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়েনি। ২০২৪ সালে ধনঞ্জয়ের গ্রামের বাসিন্দারা একটি মঞ্চ গঠন করেন, যার নাম ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ’। তাঁরা দাবি করেন হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধনঞ্জয়কে ‘স্কেপগোট’ করা হয়েছিল, তিনি নির্দোষ ছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, শুধুমাত্র গরিব হওয়ার সঠিক আইনি সহায়তা পাননি ধনঞ্জয়। এছাড়াও তাঁদের দাবি, ঘটনাস্থলের ফরেনসিক প্রমাণ যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়নি। বাঁকুড়ার (Bankura) ছোট্ট গ্রামের গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মামলা পুনরায় চালুর দাবি জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এই পুনর্বিচার শুধু ধনঞ্জয়ের জন্য নয়, ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থায় সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

দেখুন আরও খবর: 

RELATED ARTICLES

Most Popular