ঘাটাল: কল আছে, জল নেই,পানীয় জলের সংকটে (Drinking Water Crisis) দুর্ভোগে ৩০ টি পরিবার। বর্তমানে নড়বড়ে এক মাত্র টিউবওয়েল ভরসা ৩০ টি পরিবারের । অভিযোগ, ওই টিউবওয়েল জল পানের অনুপযোগী, তাই দূর থেকে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল (Ghatal) ব্লকের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরানের পূর্ব পাড়ার। জানাযায় এই সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির দখলে। স্থানীয়দের অভিযোগ সজলধারার টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রতি মাসে, তাও প্রায় এক মাসের উপর ধরে চরম পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তারা। কোনও কারণে সজল ধারা থেকে এক মাস ধরে পাওয়া যাচ্ছে না জল। সজলধারার পাম্প বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে, তাই জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট (Drinking Water Crisis)। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিনিয়ত তারা সজল ধারার জলের করের টাকা দিচ্ছেন তারা, তবুও কেন পাম্প মেরামত হয়নি। এ নিয়ে গ্রামের মানুষজনদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট (পর্ব-৩)
সজলধারার পাম্প বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে, তাই জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট (Drinking Water Crisis)। তাই পুকুরের জল অনেক সময় ব্যাবহার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এখন ত্রিশটি পরিবারের ভরসা একটিমাত্র টিউবওয়েল। সেই টিউবওয়েলের জল আনতে দিতে হয় লম্বা লাইন। অভিযোগ সেই টিউবওয়েলের জলও পানের অনুপযোগী। তার ফলে দূর থেকে সাইকেলে করে জল আনতে হয়। তাতে সমস্যায় পড়েন ওই পাড়ার বয়স্করা।
আরও পড়ুন: বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য শিখা দাসকে পানীয় জল চালু করার দাবি জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শিখা দাস সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিজেপি পরিচালিত সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানান, আমি জানতে পেরেছি ৩০ টি পরিবার জল পায়নি, পঞ্চায়েত সদস্য আমাদেরকে একবারও জানাইনি। তবে এই সমস্যার যাতে সমাধান হয় আমি খুব শিঘ্রই সেই ব্যবস্থা করব। এখন দেখার স্থানীয় মানুষের চাহিদাকে মান্যতা দিয়ে কত দ্রুত এলাকায় পানীয় জলের সংকট মেটাই প্রশাসন।
অন্য খবর দেখুন