বনগাঁ: এবার ৩০ আসন পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সময় শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সোমবার বনগাঁর নির্বাচনী সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতুয়াদের ঘরে ঘরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) পাশ হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর কেউ এই আইন রুখতে পারবে না। তাঁর অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিয়ে তৃণমূল মতুয়াদের ব্রাত্য করে রাখতে চাইছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বনগাঁয় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (BJP candidate Shantanu Thakur) জিতলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের বিশাল প্রভাব রয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট রয়েছে মতুয়াদের। সেই কারণেই এদিন বনগাঁর সভায় মতুয়া নিয়ে প্রচুর কথা শোনা যায় শাহের মুখে। তিনি বলেন, আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, ৪ দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। ৩৮০ আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবার লড়াই ৪০০ পার করার। শাহ বলেন, বাংলায় আপনারা ৩০টি আসনে বিজেপিকে জেতান। তাহলে শান্তনু ঠাকুর আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করবেন। দিদি মিথ্যা কথা বলছেন। আমি আশ্বস্ত করছি, সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। কোনও শক্তি কোনও শরণার্থীকে নাগরিক হতে আটকাতে পারবে না। অসুবিধা হলেই শান্তনু ঠাকুরের কাছে যান, উনি সাহায্য করবেন। ভ্রান্ত হবেন না। নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করলে কারও অসুবিধা হবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য অনুপ্রবেশে মদত দেন। অনুপ্রবেশদের খুশি করতে শরণার্থীদের বিরোধিতা করছে তৃণমূল। মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দিদি আপনি কী বাধা দেবেন ? নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ কেন্দ্রীয় সরকারের। বাংলার মতুয়া সমাজকে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির সত্য একদিন প্রকাশ পাবে, কল্যাণীতে দাবি মমতার
বাংলায় দাঁড়িয়ে দুর্নীতি ইস্যুতেও মুখ খোলেন অমিত শাহ। অনুব্রত মণ্ডল, কুণাল ঘোষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম করে তিনি বলেন, এঁরা চাকরি দেওয়ার কেসে, গরু পাচার কেসে, কয়লা কেসে জেলে গিয়েছেন। তৃণমূলের মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। মমতাদিদি, ৫০ কোটি টাকা কার? তিনি বলেন, এরা সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করেছে। মমতাদিদির মন্ত্রীদের জেলে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, এই তো শুরু, দুর্নীতিতে জড়িত সবাইকে জেলে যেতে হবে।
সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ ফের বলেন, মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের নীচে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাংলায় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও দিনের পর দিন সন্দেশখালিতে মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছে। বাংলায় দিদি ও ভাইপো মিলে গুন্ডারাজ চালাচ্ছেন। মমতাদিদিকে বাংলার মানুষ এখন চিনে নিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন