মেদিনীপুর: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ (Rape and Murder At Medinipur) ও কিটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উত্তাল পটাশপুরে। ঘটনাকে ঘিরে তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর পটাশপুর (East Medinipur Patashpur)। অভিযুক্তকে পাকড়াও করে গণপিটুনি গ্রামবাসীদের। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।
সূত্রের খবর, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ধর্ষণের পর জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধ। এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ ওঠে।
কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁর স্বামী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গ্রামেরই এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান ওই গৃহবধূকে। ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, ওই গৃহবধূ যাতে কাউকে কিছু না বলতে পারেন, তার জন্য ধর্ষণের পর গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর গ্রামে খবর আসে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪ ঘণ্টা পার, অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কীটনাশক খাওয়া অবস্থাতেই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পটাশপুর থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ওই ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তকে এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে এই মুহূর্তে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশও। পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্য খবর দেখুন