বীরভূম: শুক্রবার নতুন উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) আশ্রম প্রাঙ্গণ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল। উপাচার্যের ঘোষণার পরও আগের নিয়মেই বলবত রাখল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্র ভবন ছাড়া শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) আশ্রম প্রাঙ্গনে অনুমতি ছাড়া ঢুকতে পারবেন না পর্যটক ও সাধারণ মানুষ। শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানালেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। করোনা পরিস্থিতির আগে বিশ্বভারতীয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর্যটকদের ঢোকার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পর্যটকরা সেই ক্যাম্পাস দেখার জন্যই যেতেন। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যখন উপাচার্য ছিলেন তখন তিনিও বিশ্বভারতীর দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেননি। এতদিন ধরে কেবলমাত্র বিশ্বভারতীর মিউজিয়ামে যেতে পারতেন পর্যটকরা। দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বভারতীর নতুন উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ সকলের জন্য ক্যাম্পাসের দ্বার খুলে দিলেন। এর ২৪ঘণ্টা যেতে না যেতে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল কর্তৃপক্ষ।
পর্যটক ও সাধারণের জন্য রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের আশ্রম প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হল শুক্রবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান। ঘটনার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই আগের নিয়মেই অনড় থাকলো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবন ছাড়া আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগের নিয়ম লাগু রয়েছে। পর্যটক ও সাধারণ মানুষ হেরিটেজ জোন অর্থাৎ শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সপ্তাহ দুয়েক আগে জনসংযোগ আধিকারিকের ইমেলে আবেদন করতে হবে। কোন তারিখ ? কতজন প্রবেশ করবে ? সময় ? এই বিষয় গুলো উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোন সিগনেচার এবং স্টাম্প দেওয়া নেই। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এহেনো বিজ্ঞপ্তি কতটা আইনসঙ্গত সে নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্য খবর দেখুন
