বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত সুপারস্টার সলমন খানের জীবনের অন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা। ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় নিষ্কৃতি পেলেও হরিণ হত্যা মামলায় তিনি এখনও জড়িয়ে রয়েছেন। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের যোধপুর কৃষ্ণসার হত্যা কান্ডে বলিউড অভিনেতার নাম জড়ায়। তারপরই ভারতীয় সংবিধানের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুসারে শুরু হয় এই মামলা। এই মামলায় অবশ্য অন্যান্য বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে সাইফ আলি খান,সোনালি বেন্দ্রে, নিলাম ও টাব্বুর নাম জড়ায়। ২ কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলা টানা দুই দশক ধরে উচ্চ আদালতে চলছিল। বহুবার সলমনের ডাক পড়ে শুনানিতে। টানা কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই মামলা এবার স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজস্থানের উচ্চ আদালতে। রাজস্থান হাইকোর্ট মামলা বদলি নিয়ে সালমানের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এই মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের সাজা দেন রাজস্থানের যোধপুর আদালত। সাজার রায়ের পর যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই রাত কাটাতে হয় অভিনেতাকে।
পরে অবশ্য তিনি জামিনে মুক্তি পান। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলাটি দায়ের করেছিল স্থানীয় কয়েকজন। এর ফলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সলমনের নাম আবার খবরের শিরোনামে। চিন্তায় রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার। শাস্তি না জরিমানা! কোনটা জুটবে তাঁর কপালে? সালমানের ব্যস্ততম শুটিং শিডিউলের মাঝে তাঁকে নিয়ে যে আবার জলঘোলা হতে শুরু করেছে তা বলাই বাহুল্য। তার শেষ কয়েকটি ছবি সেভাবে বক্সঅফিসে সাড়া ফেলতে পারিনি। তাই আগামী ছবি ‘টাইগার ৩’ নিয়ে তাঁর অনেক আশা। তার মধ্যেই এমন একটা খবর তাকে যে বিব্রত করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।