ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন সংক্ষেপে আইভিএফ প্রক্রিয়া চলাকালীন বিরল জটিলতায় মৃত্যু হল বছর তেইশের এক তরুণীর। সন্তানের বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন লালন করেন প্রায় সবাই, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কারও কারও জীবনে নেমে আসে বন্ধ্যাত্বের অভিশাপ। এই অভিশাপ কাটাতেই ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের ব্যবহার। এক্ষেত্রে শরীরের বাইরেই ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর নিষেক ঘটানো হয়। তারপর জরায়ুতে বসিয়ে দেওয়া হয় ভ্রূণ। এই প্রক্রিয়া চলাকালীনই বিরল জটিলতা দেখা দেয়, দিল্লি নিবাসী ওই তরুণীর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তরুণীর ডিম্বাণুগুলো পুনরুদ্ধার করার সময় তাঁর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর জন্য দায়ী ওভারিয়ান হাইপারস্টিমুলেশন সিন্ড্রোম (ওএইচএইচএস)। এটি একটি অতি বিরল কন্ডিশন যা আইভিএফ প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রতি তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু তাতে গুরুতর কিছু ঘটার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Team India: বিধ্বংসী সূর্যকুমার, বড় রান কোহলির, নেদারল্যান্ডসের টার্গেট ১৮০ রান
কী এই ওএইচএইচএস?
অতিরিক্ত হরমোনের সংস্পর্শে এলে ডিম্বাশয়ে এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে, যাকে বলা হয় ওভারিয়ান হাইপারস্টিমুলেশন সিন্ড্রোম। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের করতে হরমোনাল ওষুধপত্র দেওয়া হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ওএইচএইচএস-এর ফলে ডিম্বাশয় ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতে থাকে।
এই ওএইচএইচএস থেকেই হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ঠিক যেমনটা হয়েছে এই তরুণীর ক্ষেত্রে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওএইচএইচএস-এর প্রভাবে অ্যাকিউট পালমোনারি ইডিমার সমস্যা দেখা দেয় তরুণীটির। তা থেকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং মৃত্যু।