কলকাতা: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (Vande Bharat Express Inauguration) জয় শ্রীরাম ধ্বনি (Jai Shri Ram ) নিয়ে বিতর্ক বজায় রইল ২৪ ঘণ্টা পরেও। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) হাজির হওয়া মাত্র একদল বিজেপি সমর্থক (BJP supporters) জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন। তাতে এতটাই ক্ষুব্ধ হন মমতা যে তিনি মঞ্চেই ওঠেননি। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল ওইদিনই বিজেপির এই আচরণের নিন্দা করে। পাল্টা বিজেপি মমতার ভূমিকার সমালোচনা করেন। শনিবার এই ইস্যুতে মমতাকে ফের তোপ দাগেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতিবাচক রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত। তাঁর কথায়, ওনার রাজনীতিটাই নেগেটিভ। শুধু নাটক।
দিলীপ(Dilip Ghosh) বলেন, উনি নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ তাঁর এই আচরণ। আমাদের দেশে বন্দে মাতরম (Bande Mataram)বলতে বাধা নেই। জয় শ্রীরাম (Jai Shri Ram) বলতেও বাধা নেই। উনি খেপে যান কেন। আমাদের পিছনে তো রোজ জয় বাংলা (Joy Bangla) বলছেন। আমরা তো খেপে যাই না। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বিজেপি নেতার (BJP) পরামর্শ, আপনার যদি জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, তাহলে বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন তা নিষিদ্ধ করার জন্য।
আরও পড়ুন: Driver of Vande Bharat Express: বন্দে ভারতের চালককে স্ত্রীর ব্যতিক্রমী শুভেচ্ছার কাহিনী লোকের মুখে
বিজেপি নেতা বলেন, আপনি তো জয় শ্রীরাম বলায় আমাদের কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। সারা বাংলার মানুষ খেপে আছে। এ জিনিস গণতন্ত্রে চলতে পারে না। আপনারা তো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের এমপি, এমএলএ-দের ডাকেন না। আমরা তো তাও ডেকেছি। সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গতকাল রেলের যে সব প্রকল্পের উদ্বোধন হল, তাতে মমতার কোনও অবদান নেই। উনি রাতে স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন মোদিজি (PM Narendra Modi)।
আরও পড়ুন: Awas Yojana Bankura: বাঁকুড়ায় কর্মাধ্যক্ষের শাশুড়ির নাম আবাস যোজনা চূড়ান্ত তালিকায় , বিতর্ক
দিলীপ বলেন, বন্দে ভারত বাংলায় মোদিজি উপহার দিয়েছেন। তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রীরা আসবেন না তো কে আসবেন। আমি তো মঞ্চে উঠিনি। পিছনে বসে ওনার নাটক দেখছিলাম। মোদিজি যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন উনি মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) সঙ্গে গল্প করছিলেন। আপনার গল্প করার জন্য তো নবান্ন (Nabanna) আছে। বাঙালির মান সম্মান ডুবিয়ে দিয়েছেন উনি।
 নিয়ে বিতর্ক বজায় রইল ২৪ ঘণ্টা পরেও। শনিবার এই ইস্যুতে মমতাকে ফের তোপ দাগেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতিবাচক রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত। তাঁর কথায়, ওনার রাজনীতিটাই নেগেটিভ। শুধু নাটক।){kind=link}