দেরাদুন: জোশিমঠকে (Joshimath) বিপর্যয়-প্রবণ (Disaster Prone) এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিক্ষয়ে বিপর্যস্ত জোশিমঠে এখনও ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে। চামোলির (Chamoli) জেলাশাসক জানিয়েছেন, ফাটল ধরা ও বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হচ্ছে। জলশক্তি মন্ত্রকের একটি দল সহ দুটি কেন্দ্রীয় দল সোমবার জোশিমঠ এসে পৌঁছেছে।
এখনও পর্যন্ত ৬০৩টি বাড়িতে ফাটল চোখে পড়েছে। মোট ৬৮টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, জোশিমঠের সঙ্কটকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণার আর্জি আজই জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরেনন্দর আইনজীবীকে আগামীকাল শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত করার জন্য বলেন আবেদনটি।
আরও পড়ুন: Vijay Deverakonda Holiday Gifts: বিনামূল্যে মানালি ভ্রমণ, নববর্ষে অনুরাগীদের উপহার বিজয় দেবেরাকন্ডার
এদিকে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠের বিপন্নতা নিয়ে ঝোপ বুঝে রাজনীতিতে নেমে পড়েছে কংগ্রেসও। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত এদিন বলেন, চারধাম জুড়ে এনটিপিসির (NTPC) সুড়ঙ্গ খোঁড়া এবং বড় বড় বাড়ি তৈরির ফলেই আজ জোশিমঠ পাহাড়ের খাদের কিনারায় ঝুলছে। তাদের এই মুহূর্তে থামানো উচিত এবং এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে এখনই যথেষ্ট ত্রাণ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হোক বলে দাবি করেন রাওয়াত।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, যে কোনও সময়ে গোটা জোশিমঠটাই খসে পড়ে যেতে পারে। প্রকৃতি অনেক দিন ধরেই সতর্ক করে যাচ্ছে, কিন্তু সরকার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করেনি। তাঁর মতে, এখনকার জোশিমঠের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে সম্পূর্ণ মেরামত করা প্রয়োজন।