নয়াদিল্লি: আরবসাগরের বুকে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Biparjoy) পরিণত হতে চলেছে ‘বিপর্যয়’৷ আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার গুজরাতের কচ্ছ (Kutch) উপকূল ও পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি অংশে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই উত্তাল সমুদ্র। এছাড়া কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা আবহবিজ্ঞানীদের৷ আরবসাগরের বুকে ফুঁসছে এই ঘূর্ণিঝড়। গতি বাড়িয়ে ক্রমশ উত্তরমুখী হয়ে এগোচ্ছে৷ আবহবিদদের ধারণা, ১৫ জুন নাগাদ গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ জেলার উপকূলবর্তী অংশে তাণ্ডব চালিয়ে বিপর্যয় এগিয়ে যাবে পাকিস্তানের দিকে৷
রবিবার থেকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় নিয়ে মৌসম ভবনের তরফে সতর্কতা জারি করতেই এবার জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার দুপুর তিনি বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মৌসম ভবনের আধিকারিক, গুজরাট প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের কর্তারা। গুজরাতেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার রাতেই মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। ১৫ জুন দুপুরে ঘূর্ণিঝড় গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির, পোরবন্দর ও দ্বারকায় আগামী ১৩ থেকে ১৫ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ল্যান্ডফলের সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে। গতকাল থেকেই গুজরাটের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সাইক্লোন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অবধি সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী তিনদিন।
@JM_Scindia sir we are waiting more than 5 hours at Mumbai airport flight time was 11 pm but now due to unavailability of captain/pilot they are saying 4.40 am
Si this relavant they are not providing acomadation too. @DGCAIndia @IndiGo6E pic.twitter.com/KqlwVHQ78N— DURGESH TIWARI (@tiwaridurgesh89) June 11, 2023
ইতিমধ্যেই গুজরাত প্রশাসনের তরফে কচ্ছ জেলার নীচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল রাজ্যের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে যান এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেন। মৎসজীবীদেরও আগামী তিনদিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার রাত থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে ব্যাহত পরিষেবা। বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন বহু যাত্রী। বিমান পরিষেবা ব্যাহত এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো’র তরফ থেকে টুইটে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়।
। সোমবার দুপুর তিনি বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মৌসম ভবনের আধিকারিক, গুজরাট প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের কর্তারা। গুজরাটেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।){kind=link}