নয়াদিল্লি: ভূমধ্যসাগরীয় পশ্চিম এশিয়ায় (West Asia) ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel-Hamas War) প্রকৃতি ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকে প্যালেস্তাইনের (Palestine) পাশে থাকা ইরান (Iran) হুমকির সুরে বলেছে, ইজরায়েলের যুদ্ধাপরাধ (War Crime) চলতে থাকলে প্রতিরোধ গড়ে উঠবেই। কারও হিম্মত নেই প্রতিরোধী শক্তিকে (Resistance Forces) ঠেকিয়ে রাখে। নাম না করলেও ইরানের সর্বোচ্চ শিয়া নেতা আলি হোসেইনি খামেইনির (Ali Hosseini Khamenei) এই হুঁশিয়ারি আমেরিকাকে লক্ষ্য করেই।
এই যুদ্ধকে ঘিরে আপাতত আমেরিকা, ইউরোপ ও ভারত ইজরায়েলের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, চীন, রাশিয়া এখনও সরাসরি প্যালেস্তাইনের পক্ষাবলম্বন না করলেও প্রচ্ছন্নভাবে ইজরায়েল বিরোধিতায় নেমেছে। আরব দুনিয়া পুরোপুরি প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বিরাট অঞ্চল জুড়ে পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলি আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে এই মুহূর্তে। বিশেষত হামাস অধ্যুষিত উত্তর গাজা (Gaza) থেকে বাসিন্দারা দক্ষিণ প্রান্তে চলে আসার পরেও খান ইউনুস, রাফাহ্ এবং ডের আল-বালাহ্ এলাকায় ইজরায়েলি বাহিনী ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে। তাতে অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই সাধারণ প্যালেস্তিনি।
আরও পড়ুন: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কে কী বললেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আগামিকাল, বুধবার ইজরায়েলে এসে পৌঁছচ্ছেন। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টও পশ্চিম এশিয়া সফরে এসেছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই গাজায় জ্বালানি, খাদ্য, নিদেনপক্ষে পানীয় জলের হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে স্রোতের মতো মানুষ আছড়ে পড়ছে। নেই চিকিৎসার সামগ্রী ও ওষুধ। যদিও ইজরায়েল কর্তৃপক্ষ আপাতত ত্রাণসামগ্রী ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। রাফাহ সীমান্ত দিয়ে অপেক্ষমাণ ট্রাক গাজায় ঢুকতে শুরু করেছে।
ইজরায়েলের একতরফা আগ্রাসী হামলা নিয়ে মিশর মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা গাজা যুদ্ধের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি সম্মেলন ডাকছে। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, মিশরে এই সম্মেলন হবে। তাঁর এই ঘোষণার সময় ফিদানের পাশে ছিলেন লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা হাবিব। হামাসের হাতে পণবন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে কথা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, ইজরায়েল স্থলপথে গাজা দখল করতে ঢুকবে বলে সব জল্পনায় সন্দেহের চিহ্ন পুঁতে দিয়েছেন এক সমর মুখপাত্র। তিনি বলেন, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে। অনেকেই ভাবছেন আমরা স্থলভাগ দিয়ে ঢুকব গাজায়। কিন্তু বাস্তবে অন্য কিছুও হতে পারে বলে জানান ওই মুখপাত্র।
অন্যদিকে, লেবাননের দিক থেকেও আক্রমণ শুরু হয়েছে ইজরায়েলে। রাতে লেবানন বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে ইজরায়েলের দাবি। যদিও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী কামান থেকে সেই চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ইরানের। সেদেশের সর্বোচ্চ নেতা আলি হোসেইনি খামেইনি বলেন, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হওয়া উচিত। একইসঙ্গে খামেইনি অবিলম্বে গাজায় বোমা বর্ষণ বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর