লোকসভার ফল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টাবে?   

কলকাতা: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাজ্যে এই ফলাফলের দায় আমি নিচ্ছি। আমি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। সরকারি দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করছি, যাতে আগামীর নির্বাচনগুলিতে দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারি।

মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ (NDA) জিতেছে ১৭টিতে, যেখানে তাদের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল ৪৫। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র নটি আসন। অন্যদিকে মহাবিকাশ আঘাড়ি এবং কংগ্রেসের (Congress) ইন্ডিয়া জোট (INDIA bloc) ৩০টি আসন জিতে নিয়েছে। ফড়নবিশের অনুরোধ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাখবে কি না তা সময় বলবে, তবে এই ফলাফল পশ্চিমের রাজ্যটির রাজনৈতিক সমীকরণ ওলটপালট করে দিতে পারে। তার উপর এ বছরই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: মোদির শপথ আটে, মাথাব্যথা নিয়েই চড়বেন কুর্সিতে!

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল শিবসেনা (Shiv Sena) এবং বিজেপির এনডিএ। কিন্তু সরকার নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় জোট ভেঙে যায় এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। ২৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব পান অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। কিন্তু আস্থা ভোটের আগে ২৬ নভেম্বর দুজনেই পদত্যাগ করেন। এরপর শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকার গঠন করে।

কিন্তু তিন বছরও টেকেনি এই সরকার। উদ্ধব ঠাকরের সরকার থেকে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) সহ বেশ কিছু বিধায়ক শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে যান। ২০২২-এর ২৯ জুন পদত্যাগ করেন উদ্ধব। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হন ফড়নবিশ। শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী এবং বিজেপির এনডিএ সরকারই এখনও ক্ষমতায়। সেই সঙ্গে শরদ পওয়ারের এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অজিত পওয়ার। তাই মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র ভালো ফল করার আশা ছিল। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।

এখন প্রশ্ন হল, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিধানসভায় কতটা প্রভাব ফেলবে? মহারাষ্ট্রের মানুষের মনে উদ্ধব গোষ্ঠী এবং শরদ পওয়ারের জন্য যে যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে তা প্রমাণিত হয়েছে। শরদ পওয়ারকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির অপ্রীতিকর মন্তব্যও মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। এরপর শিন্ডে এবং অজিত যদি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন তাহলে বিজেপির দুর্দশার সীমা থাকবে না। বিধানসভায় সরকার গড়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

দেখুন অন্য খবর: