সোনারপুর: সালিশি সভা ডেকে তালিবানি কায়দায় মহিলাদের বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে। অন্যের জমি হাতিয়ে প্রাসাদপমো বাড়ি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঙ্গুরে বাড়ি জামালের। এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, কোনও কাজ না করে কী করে এই প্রসাদপমো বাড়ি বানালেন জামাল। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে জামাল দাবি করেছিলেন, ঘোড়া আর গরুর জন্য বাড়িতে শিকল রেখেছেন। কিন্তু একের পরে এক অভিযোগ উঠতেই বেপাত্তা জামাল।
পাঁচিলে ঘেরা বিশাল জমি। গেট পেরিয়ে ঢুকলেই মার্বেল বসানো ঝাঁ চকচকে রাস্তা। বাড়ির প্রবেশপথ থেকে শুরু করে পুরো এলাকা মোড়া সিসি ক্যামেরায়। প্রায় ৫০টি সিসিটিভি ক্য়ামেরা লাগানো রয়েছে জামালের বাড়িতে। এটাই সোনারপুরকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জামালউদ্দিন সর্দারের বসতবাড়ি। সেই বাড়ির ভিতরে রয়েছে সুইমিং পুলও। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ।
আরও পড়ুন: ফের শহরে আক্রান্ত পুলিশ, গ্রেফতার মত্ত যুবক
এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা, সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হত না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বিরাট দহরমমহরম। সেই ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম করত জামাল। বাড়িতেই সালিশি সভা বসিয়ে সে বিচার করত। যাঁরা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হত না, তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। মহিলারাও তাঁর অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি। বিধায়ক লাভলী মৈত্র জানিয়েছেন, জামাল সর্দার তৃণমূলের কেউ নয়। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: