কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতি এখন উত্তাল বেআইনি স্যালাইন কাণ্ডে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বেআইনি স্যালাইন দেওয়া হয় প্রসূতিদের যার জেরে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনকি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজও গাফিলতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। আর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি নাম না করে প্রত্যেকের গাফিলতি চিহ্নিত করে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডের কথাও ঘোষণা করেন।
আর তারপরেই এবার সেই ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফ আই আর। কোতোয়ালি থানায় ডেপুটি সিএমওএইচের অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর – এ গাফিলতিতে মৃত্যুর ধারায় আরও কয়েকজনের নাম থাকতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর হাসপাতালে সুপার সহ ১২ জন ডাক্তার সাসপেন্ড, জানালেন মমতা
সাংবাদিক বৈঠক থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ সেদিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, যাঁদের জন্য ঘটেছে এমন ঘটনা, তাঁদের কোন ভাবেই রাখা যাবেনা। কারণ এরপর বাকি রোগীদেরও ক্ষতি হতে পারে।’ আর এই কথা বলার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করলেন।
কাকে কাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে?
বিভাগের আরএমও ডক্টর সোমেন দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডক্টর দিলীপ কুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডক্টর হিমাদ্রী নায়েক, ডক্টর মহম্মদ আলাউদ্দিন, ডক্টর জয়ন্ত কুমার রাউত (এমএসভিপি), ডক্টর পল্লবী ব্যানার্জী (সিনিয়র আরএমও), ডক্টর মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি) ডক্টর ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি), ডক্টর সুশান্ত মণ্ডল (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর পূজা সাহা (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর মনীশ কুমার (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর জাগৃতি ঘোষ (সেকেন্ড ইয়ার পিজিটি) কে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ তোলেন, বহু চিকিৎসক ৮ ঘণ্টার ডিউটি আওয়ার মেনটেইন করেন না। তার বদলে সেই সময় বেসরকারি সংস্থায় চিকিৎসা চালান। আর এই রীতি বেশি দিন বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দেখুন অন্য খবর