ওয়েব ডেস্ক: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও জল ছাড়ল ডিভিসি (DVC)। ডিভিসির ছাড়া জলে ভাঙল শিলাবতি নদীর বাঁধ। জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের (Chandrakona block) হিরাধরপুর গ্রামে ভাঙল শিলাবতী নদীর বাঁধ। টানা বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী ছাঁপিয়ে জল বইকে শুরু করেছে। গ্রামে গ্রামে ঢুকছে জল। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যাক্তি। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনদিন লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন নদ-নদীর জলস্তর আগে থেকে বেড়েছে। এই অবস্থায় ফের জল ছাড়ে ডিভিসি। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা থেকে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মোট ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু কের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। মাইথন থেকে ৭ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। শুক্রবার সকাল থেকে সেই পরিমান আরও বাড়ে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারী বৃষ্টি আর জলাধার থেকে ছাড়া জলের জেরে বিপর্যস্ত একাধিক জেলার জনজীবন। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার একাংশ জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল-সহ একাধিক এলাকায়। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার গ্রাম। একাধিক রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামের বহু মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্লাবন এলাকাগুলির খোঁজ নিয়েছেন। নবান্নে জরুরী বৈঠক করে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক চলাকালীনই মুখ্যসচিবের ফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মানুষের পাশে থাকতে হবে। বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। মুখ্য সচিবের ফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন।
দেখুন আরও খবর