সৈয়দ মফিজুল হোদা, বাঁকুড়া (ইন্দাস): দামোদর নদীর (Damodar River) ভাঙনে আতঙ্কে ভাসনা (Bhasna) গ্রামের বাসিন্দারা, কাজের গাফিলতিতে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে স্বীকার পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) সভাপতির।
নদীপাড়ে বাস, তাই চিন্তা বারো মাস। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর ধরে এই দুশ্চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর নদী, আর প্রতিবছর বর্ষার সময় নদী ভাঙনের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
প্রতিবারই নদীভাঙনের আশঙ্কা নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। পরিদর্শনে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা, দেন আশ্বাস।
সেই আশ্বাসে নদী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও, কাজের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী চারদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার উপর ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জল ছাড়ায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ডিভিসির ছাড়া জলে ভাঙল শিলাবতী নদীর বাঁধ
এই পরিস্থিতিতে নদী বাঁধের অসম্পূর্ণ কাজ জলের তলায় চলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যথাসময়ে কাজ শুরু হলে আজ তারা এই দুশ্চিন্তায় থাকতেন না। ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণেই বর্ষার মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে এবং অসম্পূর্ণ কাজ নদীর স্রোতে ধ্বংস হয়ে গেছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী, “আমরা মহকুমাশাসক ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। প্রকল্পটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ দফতরের তরফে বিলম্ব হয়েছে।
আগাম বৃষ্টিপাত ও জল ছাড়ার ফলে বাঁধের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পুনরায় ঊর্ধ্বতন দফতরে জানাবো যাতে গ্রামবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারেন।”
ভাসনা গ্রামের মানুষদের এখন একটাই দাবি—নদী বাঁধের কাজ যেন সময়মতো ও যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়, যাতে তারা অন্তত বর্ষার সময় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন।
দেখুন আরও খবর-