কলকাতা: কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid 19 3rd Wave) মধ্যেই সামনে চার পুরনিগমের ভোট (Municipal Corporation Election)। বাইশ জানুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে পুরভোট। এই পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যে কোনও রকম জমায়েত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও (State Election Commission) তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। রাজনৈতিক জমায়েতে সর্বোচ্চ সংখ্যা নতুন করে বেঁধে দেওয়ার জন্য বুধবার চিঠি লিখল কমিশন। এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
রাজ্যে প্রতিদিনই ঝড়ের গতিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দেশের মধ্যে যে ছয় রাজ্যে দশ হাজারেরও বেশি অ্যাকটিভ করোনা রোগী রয়েছেন, তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানেই পশ্চিমবঙ্গের নাম। দেশে প্রতিদিন অ্যাকটিভ করোনা রোগীর ১১.৯০ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গের। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি কলকাতার। লাগোয়া বিধাননগরের পরিস্থিতিও উদ্বেগের। এই পরিস্থিতিতেই বিধাননগর পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোট হতে চলেছে। বিধাননগর ছাড়াও ভোট রয়েছে হুগলির চন্দননগর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এবং দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি পুরনিগমে।
ভোটপ্রচারে প্রকাশ্য সভায় ৫০০ জনকে জমায়েতের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখনই এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কোভিডের এই নতুন ঢেউয়ের মধ্যে কীভাবে ৫০০ জনকে জমায়েতের অনুমতি, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সূত্রের খবর বিতর্কের জল গড়ায় রাজ্য প্রশাসনে শীর্ষ মহলে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরেই বুধবার চিঠি লিখে চার জেলার জেলাশাসকের মতামত জানতে চাওয়া হয়। কমিশনের প্রস্তাব জমায়েতের সংখ্যা ৫০০ থেকে কমিয়ে ২০০ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলির জেলাশাসকের কাছ থেকে তাঁদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Covid-19 in Kolkata: কলকাতায় ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৪৮ কনটেনমেন্ট জোন
একইসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক করেছে ১৭ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জেলায় টিকাকরণ হবে। মানতে হবে কোভিড বিধি। না মানলে বিপর্যয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা ও শাস্তি হবে। এ ছাড়াও সমস্ত বুথে থাকবে সিসিটিভি। প্রতি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে। চার পুরভোটের পর্যবেক্ষকদের বৃহস্পতিবার থেকেই সমস্ত নিয়মবিধি নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশনের ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষকের মধ্যে ৫ জন পর্যবেক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।