শনিবার মারগাওয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে এটিকে মোহনবাগানের সামনে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। আই এস এল-এ মোহনবাগান আছে এখন চার নম্বরে। আর নর্থ ইস্ট আছে এগারো নম্বরে। তাই বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে মোহনবাগানেরই জেতার কথা। টানা নয়টি ম্যাচে অপরাজিত আছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। এর মধ্যে ফেরান্দো নিজে সাতটি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শনিবারের ম্যাচে জুয়ানের সমস্যা হচ্ছে তাঁর দলের চোট আঘাত। গত ম্যাচে তাঁর দল হারিয়ে দিয়েছে হায়দরাবাদ এফ সি-কে। তবে সে ম্যাচে চোট পেয়ে বসে গিয়েছিলেন হুগো বুমো এবং কার্ল ম্যাকহিউ। তাদের শনিবার মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। অল্পবিস্তর চোট আছে ডেভিড উইলিয়ামসেরও। তবে জুয়ানের কাছে সুখের খবর হল রয় কৃষ্ণ এখন ফিট। টিমের সঙ্গে প্র্যাকটিসও করেছেন। তাঁকে শনিবার টিমে রাখার কথাই ভাবা হচ্ছে।
ফিট হয়ে প্র্যাকটিস করছেন সন্দেশ ঝিঙ্গনও। তবে তাঁকে খেলানো হবে কি না তা নিয়ে কোনও মুখ খুলতে চাননি জুয়ান। তবে বুমো এবং ম্যাকহিউ না খেললে তাদের বদলে রয় কৃষ্ণ এবং জনি কাউকো তো আছেনই। পিছন দিকে তিরি যা ফুটবল খেলছেন তাতে তিনি এখন ডিফেন্সের স্তম্ভ। সামনের দিকে যদি উইলিয়ামস খেলতে না পারেন (যার সম্ভাবনা কম) তাহলে কিয়ান নাসিরি তো আছেনই। দুই উইঙ্গার লিস্টন কোলাসো এবং মনবীরের মাঝখানে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যে কিয়ানের আছে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তবে রয় কৃষ্ণ খেললে তাঁকেই লিস্টন আর মনবীরের সঙ্গে খেলানো হতে পারে।
মোহনবাগানে এ বছর খুবই ভাল খেলছেন লিস্টন কোলাসো। হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে এক কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে এসেছে মোহনবাগান। আর লিস্টন তার প্রতিদান দিচ্ছেন প্রতিদিনই। ইতিমধ্যেই ছটা গোল করা হয়ে গেছে তাঁর। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই এখন টপ স্কোরার। বাঁ দিক দিয়ে তাঁর গতিময় দৌড় বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাছে অত্যন্ত ভয়ের। এর সঙ্গে আছে তাঁর দু পায়েই জোরালো শট। সব মিলিয়ে মোহনবাগান ফরোয়ার্ড লাইনে গোয়ার লিস্টন কোলাসো এখন সবচেয়ে বড় শক্তি। তাঁর সঙ্গে রাইট উইংয়ে মনবীর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু তাঁর খেলার মধ্যে যে ভেদশক্তি ছিল তা এ বছর অনেকটাই নিষ্প্রভ। তবে হায়দরাবাদ ম্যাচে গোল করে তিনি আবার নিজেকে ফিরে পান কি না তাই এখন দেখার।
খালিদ জামিলের নর্থ ইস্ট শুরুটা খারাপ করেনি। কিন্তু লিগ যত এগিয়েছে তারা ততই পিছিয়ে পড়ছে। ষোলটা ম্যাচে তারা জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে। গোল খেয়েছে ৩৫টি। প্রথম লিগে মোহনবাগানের সঙ্গে তারা লড়ে হেরেছে ২-৩ গোলে। কিন্তু এখন দু দলের মধ্যে বিস্তর তফাত। ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং অ্যাটাক মিলিয়ে মোহনবাগান এখন সুসংহত দল। গোলকিপার অমরিন্দরও এখন বেশ ভাল ফর্মে। তাই শনিবার নর্থ ইস্ট কে হারানো মোহনবাগানের কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। মোহনবাগানের টিমের যা ওজন তার ভার নর্থ ইস্ট বইতে পারবে বলে মনে হয় না।