ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের ভারতগৌরব সম্মান পাচ্ছেন ঝুলন গোস্বামী। আগামি পয়লা আগস্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবসে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ভারতের মেয়ে দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলনের হাতে ভারত গৌরব সম্মান তুলে দেওয়া হবে। ওই দিন ক্লাবের দেওয়া জীবনকৃতি সম্মান পাবেন দুই প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম সরকার এবং স্বপন সেনগুপ্ত। আর সেদিনই বরেণ্য সাংবাদিক অজয় বসুর নামাঙ্কিত সেরা সাংবাদিকের সম্মান পাবেন লোকেন্দ্র প্রতাপ সাহী। আর পুষ্পেন সরকারের নামাঙ্কিত সেরা ফটোগ্রাফারের পুরস্কার পাবেন সুবীর মজুমদার।
ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের ভারত গৌরব পুরস্কারের শুরু ২০১১ সালে। প্রথমবার এই পুরস্কার পেয়েছিলেন লেসলি ক্লডিয়াস। তার পর থেকে এই সম্মান পেয়েছেন আমেদ খান, অরুণ ঘোষ, বাচেন্দ্রি পাল, মহম্মদ হাবিব, মিলখা সিং, ধনরাজ পিল্লে, গুরবক্স সিং এবং কপিল দেব। কোভিডের জন্য গত দু বছর এই সম্মান দেওয়া যায়নি। ঝুলন গোস্বামী ভারতের মেয়ে ক্রিকেটের ইতিহাসে একজন কিংবদন্তী। চাকদহ থেকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে কলকাতায় আসতেন বিবেকানন্দ পার্কে প্র্যাক্টিস করতে আসতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতের হয়ে টেস্ট, এক দিনের ক্রিকেট এবং টি টোয়েন্ট ক্রিকেটে খেলেন। ঝুলন এখনও খেলে যাচ্ছেন। তিনি একজন জোরে বোলার। ঝুলন দুবার বিশ্ব কাপের ফাইনালে খেলেছেন। ভারত ২০১৭ সালের এক দিনের বিশ্ব কাপে ফাইনালে খেলেছিল। সেবার তারা হারে ইংল্যান্ডের কাছে। আর ২০২২ সালের বিশ্ব কাপের ফাইনালে হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। বিধ্বংসী জোরে বোলার ঝুলন ২০১টি এক দিনের ম্যাচে পেয়েছেন ২৫২টি উইকেট। তিনিই প্রথম মেয়ে ক্রিকেটার যিনি দুশো উইকেটের গণ্ডি ভাঠেন।৬৮টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে ঝুলন পেয়েছেন ৫৬টি উইকেট। আর ১২টি টেস্টে পেয়েছেন ৪৪টি উইকেট। জোরে বল করার জন্য ক্রিকেট সার্কিটে তাঁর নাম চাকদহ এক্সপ্রেস। ২০০৭ সালে তিনি আই সি সি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন। সে বছর আই সি সি-র সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান রিকি পন্টিং। পঁচিশে নভেম্বর, ১৯৮২ সালে জন্ম ঝুলনের। টি টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঝুলন এখনও এক দিনের ক্রিকেটে দেশের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। ২০১০ সালে তিনি পান অর্জুন পুরস্কার। আর ২০১২ সালে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের ভারত গৌরব সম্মান তাঁর মাথার উজ্জ্বল মুকুটে একটি সুন্দর পালক যোগ করবে।