নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সন্ধেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘হুঙ্কার যাত্রা’ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমায়। একটি ধর্মস্থানে এবং সংখ্যালঘুদের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ হামলাকারী ‘প্রকৃত হিন্দু’ নন বলেও মন্তব্য করেন৷ একই সঙ্গে একের পর এক হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চুপ থাকার বিষয়ে সরব হন রাহুল৷
তিনি হিন্দিতে টুইটে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যারা হিন্দুর নামে বিদ্বেষ ও হিংসা করে তারা হিন্দু নয়, তারা ভন্ড। সরকার আর কতকাল অন্ধ বধির হওয়ার ভান করে থাকবে?’
त्रिपुरा में हमारे मुसलमान भाइयों पर क्रूरता हो रही है। हिंदू के नाम पर नफ़रत व हिंसा करने वाले हिंदू नहीं, ढोंगी हैं।
सरकार कब तक अंधी-बहरी होने का नाटक करती रहेगी? #TripuraRiots
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 28, 2021
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল। সমাবেশ চলাকালীন একদল কর্মী ঢিল ছোঁড়ে। ভাঙচুর করা হয় সংখ্যালঘুদের দোকান। এমনকী এলাকার একটি ধর্মস্থান ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার এসপি।
অন্যদিকে এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ঘর-দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনার পর হিংসা রুখতে গোটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে।
ত্রিপুরায় জ্বলছে সংখ্যালঘুদের দোকান
আরও পড়ুন – ত্রিপুরায় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক, আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
ত্রিপুরার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যহত করার জন্য একদল দুষ্কৃতকারী এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ওই রাজ্যের বাম দলCPI(M)। একই সঙ্গে তাঁদের তরফ থেকে শান্তি বজায় রাখার জন্য সকল জনগণের কাছে আবেদন করেছে। এছাড়াও বাম দলের CPI(M) পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন এমন কোনও ঘটনার কথা তিনি জানেন না। যদি হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।