জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়িতে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এক তৃণমূল কর্মীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বীপ নগর এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বর্তমানে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মাধবডাঙা এলাকায়। ঘটনাস্থলে ময়নাগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়িতে জয়ী বিধায়কদের সংবর্ধনা তৃণমূলের
জানা গেছে, মাধবডাঙা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বীপ নগর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী হরিপদ রায় (৭০)। শুক্রবার সকালে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থক ভীম রায়ের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা হরিপদ রায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁর পরিবারের সদস্য জয় কুমার রায় বলেন, ” ভীম রায় একজন বিজেপি কর্মী। উনি দীর্ঘদিন থেকে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। উনি সব সময় নেশা করে থাকেন, বাড়িতেও গাঁজা চাষ করেন।”
আরও পড়ুন : বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট জলপাইগুড়িতে, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পঞ্চায়েতের
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা ভীম রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। অভিযুক্ত ভীম রায়ের স্ত্রী অলকা রায় বলেন, ” তৃণমূলের লোকজন এসে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আমি ভয়ে বাড়ি যেতে পারছি না। আমি অসুস্থ মানুষ। আমি কোনো কিছু জানতে চাইলে আমাকেও রাগ দেখায়। আমি কিছু জানি না কি হয়েছে।” ঘটনার পরেই ভীম রায়কে গ্রেফতার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভীম রায় ওই এলাকার মানুষদের নানা রকম ভাবে শাসাত। সে সারাদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতো বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খবর পাওয়ার পর ময়নাগুড়ি থানার পক্ষ থেকে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমানে গাঁজার গাছ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।