কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের পর এবার জাতীয় মহিলা কমিশনও (National Commission for Women) রামপুরহাটের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল। রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ঘটনার (Rampurhat Violence) বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ডিজির পাশাপাশি বুধবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বীরভূমের পুলিস সুপার (SP Birbhum) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকেও।
একটি নিউজ পোর্টালের খবর উল্লেখ করে জাতীয় মহিলা কমিশন ডিজিকে (DGP West Bengal) লিখেছে, তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনার পর ওই দলেরই কর্মী সমর্থকরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ১০-১২টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে। তাতে শিশু ও মহিলা সমেত মোট আটজনের মৃত্যু (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) হয়েছে। কমিশন বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ওই ঘটনার পর জেলা পুলিসও প্রশাসনকে মহিলাদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
National Commission for Women (NCW) takes cognizance of the Birbhum incident and writes to DGP West Bengal and SP Birbhum to arrest and take stringent action against the culprits and to intimate the action taken into the matter to the Commission within 24 hours. pic.twitter.com/cmd0zW8wmO
— ANI (@ANI) March 23, 2022
জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW) আরও লিখেছে, রামপুরহাটের এই নৃশংস ঘটনায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন। এই সংকটের সময় মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকারের বিবেচনায় রাখতে হবে।
এদিনই জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনও বীরভমের পুলিস সুপারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রামপুরহাটের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিস কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন তাও জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: বগটুইয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?
সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গ্রামে শুরু হয় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। গ্রামের ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকেই সাত জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে দমকলবাহিনী। হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। শাসকদলের অভিযোগ, রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।