বোলপুর: শান্তিনিকেতনে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। কথা বললেন নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে। একইসঙ্গে এদিন তিনি তাঁদের আগামিদিনের লড়াইয়ে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
বুধবার সকালে শান্তিনিকেতনের ওই গ্রামে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন অধীর। তাঁর সঙ্গে ছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ওই বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন, তাঁদের বাড়িতে তদন্ত করতে পুলিস এসেছিল কি না। কে দোষী তা খোঁজার চেষ্টা করেছিল কি না। নির্যাতিতার বাবা কিছু বলতে না চাইলে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয় তাঁরা পুলিসের লোক নন। তাঁকে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন তিনি। এরপর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অধীরবাবু তাঁকে ভয় পেতে মানা করেন, পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
এরপর নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘বিজেপির মত সিবিআই চাই না৷ আমরা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত চাই। আমরা তো দেখে আসছি মোদির সিবিআই ও দিদির সিআইডি একই৷ তৃণমূল মানেই কাটমানি, খুন, ধর্ষণ। রাজ্য এখন ধর্ষণময়। এই সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সারা বাংলা জুড়ে বখরার ভাগ নিয়ে মারামারি শুরু হয়েছে। দলে যেমন অঞ্চল কমিটি, গ্রাম কমিটি হয়। তেমন বাংলা জুড়ে তৃণমূলের সিণ্ডিকেট কমিটি হয়েছে।’
আরও পড়ুন- Deucha Pachami: বাণিজ্য সম্মেলন শুরুর দিনেই শুভেন্দুর নেতৃত্বে ১১ বিধায়কের দেউচা সফর
বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই নাবালিকা তাঁর এক বান্ধবীর বাড়িতে আসে চড়ক পুজো দেখতে। শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ জানা গিয়েছে, সেই মেলা থেকে ফেরার পথে প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে ওই নাবালিকাকে অন্ধকার নদীর তীরে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। এরপরেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। প্রথমে। রবিবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিস আটক করে পাঁচ যুবককে। যদিও ওই পাঁচ যুবক নির্দোষ দাবি করে থানার সামনে ধর্নায় বসেন গ্রামবাসীরা। রবিবার রাতে ওই স্কেচ মিলিয়ে পাঁড়ুই থানার বাদলোডাঙা গ্রাম থেকে সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার সকালে পাঁড়ুই থানার বাদলোডাঙা গ্রাম থেকে আরও দুই নাবালককে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস।