ঝাড়গ্রাম : শুক্রবার লালগড়ের পালিত হল নেতাইয়ে (Netai) শহীদ স্মৃতি দিবস। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, প্রতি মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত সহ ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধানসভার বিধায়ক ও দুই জেলার নেতৃত্বরা। কিন্তু নেতাইয়ে যাওয়ার সময় বাধা পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর রাস্তা আটকাল পুলিস।
এদিন শহীদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম ও নেতাই সহ সব সিপিএমের বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা নেতাইয়ের পাশে রয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি বিশেষ সাম্প্রদায়িক দলের ঝান্ডা নিয়ে শহীদ বেদিতে তর্পণ করতে আসে তার প্রতিবাদ নেতাই গ্রামের মানুষ করবে। কারণ নেতাইয়ের মানুষ জানেন, জোড়া ফুলের ঝান্ডা নিয়ে নেতাইয়ের মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। তাঁরা ও তাঁদের পরিবার কখনওই চাইনি, সাম্প্রদায়িক দলের ঝান্ডা নিয়ে অন্য কেউ তর্পণ করুক। তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দলের যারা সুযোগ নেবেন বা চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করুন।
আরও পড়ুন : Jhargram Covid : করোনায় ‘ধুঁকছে’ ঝাড়গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবা, আক্রান্ত বহু কর্মী
নেতাইয়ে মঞ্চ করে শহীদ দিবস পালন করার জন্য পুলিসের কাছ থেকে অনুমতি নেননি বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই শুক্রবার নেতাইয়ে যাওয়র আগে ঝিটকার কাছে তাঁকে আটকে দেয় পুলিস। শুভেন্দু অধিকারী জানান, প্রত্যেক বছরই এই দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে পালন করেন তিনি। তাহলে আজ এই বাধা কেন ? পুলিস জানায়, শহীদ দিবস পালনের জন্য অনুমতি নেননি তিনি। এরপর ঝিটকা থেকে প্রায় পায়ে হেঁটে ভীমপুর পৌঁছন তিনি ও তাঁর অনুগামীরা। সেখানেই শহীদ দিবস পালন করেন তিনি।
 শহীদ স্মৃতি দিবস। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধানসভার বিধায়ক ও দুই জেলার নেতৃত্বরা।){kind=link}