বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার ফের উদ্ধার হল মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। বৃহঃস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার সাবড়াকোন থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার রাস্তায় চাঁদাবিলা এলাকার কাছে রাস্তার দুপাশে মোট চারটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সাদা কাগজে লাল কালিতে পোস্টারগুলিতে লেখা, তালডাংরা থানার শিমুলডাঙ্গা গ্রামের কিশোরীর উপর হামলা ও মারধরের ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।ওই পোস্টারের মাধ্যমে নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য প্রশাসন ও আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন মাঝি পরগানার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর পেতেই পুলিস পোস্টারগুলি উদ্ধার করেছে। এই পোস্টারগুলি কে বা কারা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এর আগে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ও বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই প্রথম জঙ্গলমহলের বাইরে তালডাংরা থানার চাঁদাবিলা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, একাধিক মাও পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার দিন সকালে বিনপুর থানার ওড়গোদা এলাকায় একাধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার করে পুলিস।পোস্টারে লেখা, বন্ধ বিরোধী প্রচারের জন্য বিকাশ মাহাত এবং চরণ মান্ডির বিচার চাই। এলাকার গরিব মানুষদের টাকা লুণ্ঠনকারি তৃণমূল নেতাদের গণ আদালতে বিচার চাই।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee: বগটুই-হাঁসখালির ঘটনায় রাজ্যের মুখ পুড়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সম্প্রতি দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদিয়া, ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়তে দেখা যাচ্ছে৷ জেলাশাসকের কাছে জানতে চান, এত মাওবাদী পোস্টার পড়ছে কেন? আসলে ওগুলো সব বিজেপির কাজ৷ মাওবাদী বলে কিছু নেই৷ তবু তিনি পুলিস সুপারকে সতর্ক করে দেন৷ জানান, বেলপাহাড়ি হয়ে বাইরে থেকে লোক ঢুকছে৷ দরকার হলে বেলপাহাড়ি সিল করে দিতে হবে৷
একইসঙ্গে তালড্যাংরায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ নির্যাতিতার পরিবারই তাঁকে গ্রাম থেকে চলে যেতে বলে৷শেষমেশ ফিরে যেতে বাধ্য হন বিরোধী দলনেতা৷
আরও পড়ুন Suvendu Adhikari: ‘ফিরে যান’, তালড্যাংরায় শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ নির্যাতিতার পরিবারের