ময়না: প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় শুরু ‘দুয়ারে ডাক্তার’ (Duyare Doctor) কর্মসূচি। খুশি এলাকার মানুষ। স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি (Purnendu Kumar Majhi) রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার কথা বলেছিলেন। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় আগেই এই পরিষেবা চালু হলেও, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ও পটাশপুরের দুটি জায়গায় ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচি পালন করা হল।
এদিন তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচিতে যোগদান করেন। ময়নার ক্যাম্পে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়, তমলুকের মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন এই কর্মসূচিতে।
আরও পড়ুন: Bhangar | HS Exam 2023 | পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর
জেলাশাসক জানিয়েছেন, জেলার প্রান্তিক এলাকার মানুষজন যাতে ভালোমতো চিকিৎসা পরিষেবা পায়, তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে এলাকার প্রায় দেড় হাজার মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও দেওয়া হয়। বাড়ির কাছে এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল প্রামাণিক জানান, এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা বাড়ির পাশে হওয়ায় এলাকার অনেক গরিব মানুষ পরিষেবা গ্রহণ করতে পারছে। এই ধরনের পরিষেবা যাতে মাসে এক বার করে হয়, নির্মলের মতো স্থানীয় অম্নেকি প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন।
মাস কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসকেরা পালা করে জেলায় জেলায় শিবির করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করুন। তাতে চিকিৎসকদের গ্রামে চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা হবে, গ্রামের মানুষও কলকাতার চিকিৎসকদের পরিষেবা পেয়ে খুশি হবেন। এর জন্য ওই ডাক্তারদের ইনসেন্টিভ বা বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব মতোই জেলায় জেলায় ‘দুয়ারে ডাক্তার’ প্রকল্প শুরু হয়েছে।
তবে এই প্রকল্প নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ভিন্ন মতও আছে। অনেকে বলছেন, কলকাতার ডাক্তাররা একদিন বা দু’দিন গিয়ে গ্রামে চিকিৎসা করে এলেন, কিন্তু কোনও রোগের ফলোআপের ক্ষেত্রে সেই রোগীকে তো কলকাতাতেই আসতে হবে। শুধু তাই নয়, কলকাতার হাসপাতালেও ডাক্তারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সেই ডাক্তাররা পালা করে গ্রামে গেলে কলকাতার হাসপাতালেও তো ডাক্তারের অভাব দেখা দেবে।