বেলজিয়ামের তৈরি কাঁচের আয়না জগৎবিখ্যাত। বেলজিয়াম কাঁচের আয়না যে যথেষ্ট মূল্যবান তা সকলেই জানেন। এবার সেই দেশেই তৈরি হলো স্বচ্ছ নীল জলের তলায় শুটিং করার এক অভিনব স্টুডিও। উত্তাল সমুদ্র কিংবা জলের নিচে কোন অ্যাকশন সিকোয়েন্স যা দর্শক মনে রোমাঞ্চ জাগায় সেসব শুটিং করার জন্য বেলজিয়ামের এই অভিনব জলের তলার ষ্টুডিও সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের দৃশ্য গ্রহণ অনেকটাই সহজ করে তুলেছে এই অভিনব স্টুডিও। বেলজিয়ামেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘ওয়াটার ষ্টুডিও’। বেলজিয়ামের এক ছোট্ট শহর ফিলফোর্ডে এই স্টুডিওতে রয়েছে স্পেশাল এফেক্ট এর ব্যবস্থা। অলিম্পিকের মাপের পুলে প্রায় ৬০ লক্ষ লিটার জলে তৈরি হয়েছে এই অভিনব অয়াটা ষ্টুডিও। শুটিংয়ের প্রয়োজনে ১০ মিটার গভীর এই পুলের মেঝে ওপর-নিচ করানো যায়। সম্পূর্ণ প্রযুক্তিতে ভরা বেলজিয়ামের এই অভিনব স্টুডিও। এই প্রযুক্তিতে তৈরি করা যায় সমুদ্রের ঝড় কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি। ঝোড়ো বাতাসের মধ্যে আশপাশের জল কামান থেকেও জলের ধাক্কা আসতে থাকে তখন সাঁতার কাটা আরো কঠিন হয়ে ওঠে। ক্যামেরায় দেখলে মনে হয় সত্যি সমুদ্রের উপর তৈরি হয়েছে এই ছবি।
প্রসঙ্গত, এই স্টুডিওতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। ছবি দেখে ধরার উপায় নেই যে কলাকুশলীরা কোথায় সেইসব দৃশ্যের শুটিং করেছেন।
উল্লেখ্য, জেমস ক্যামেরনের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ছবি ‘Avatar: The Way of Water’ এ জলের নিচে অভিনেতাদের অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করার জন্য নতুন এই নির্মাণ প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছিল। যা সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।