ওয়েব ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে (Modi-Trump Meet) সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। ওয়াশিংটনে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর দুই দেশের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি (Joint Statement) প্রকাশ করা হয়, যেখানে পাকিস্তানকে (Pakistan) সরাসরি বার্তা দেওয়া হয়। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, তাদের মাটি যেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার না হয়। তবে এই বিবৃতি প্রকাশের পরই পাকিস্তান অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং একে ‘একতরফা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছে।
ভারত (India) ও আমেরিকার (USA) এই যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম থাকায় সরব হয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র শাফকাত আলি খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই বিবৃতি পাকিস্তানের আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করেছে এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। তিনি বলেন, “পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করে আসছে এবং বহু আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। অথচ মোদি-ট্রাম্পের বিবৃতিতে সেই অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই বিবৃতি একতরফা এবং বিভ্রান্তিকর।”
আরও পড়ুন: “We missed you a lot…”, মোদিকে বললেন ট্রাম্প, তারপর কী হল?
উল্লেখ্য, মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের পর একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
তাহাউর রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত থেকে মুম্বই হামলায় সহায়তা করেছিলেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার কারাগারে বন্দি। কিছুদিন আগেই আমেরিকার আদালত তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমোদন দেয়, এবং এই সিদ্ধান্তকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন ট্রাম্প।
দেখুন আরও খবর: