skip to content
Thursday, May 1, 2025
HomeScrollমুম্বই থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় পৌঁছবেন দুবাই
Mumbai Dubai Underwater Train

মুম্বই থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় পৌঁছবেন দুবাই

এবার সমুদ্রের তলা থেকে যাওয়া যাবে মুম্বই!

Follow Us :

ওয়েব ডেস্ক: সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে রেলপথ—এ যেন সায়েন্স ফিকশন সিনেমার চিত্রনাট্য! কিন্তু বাস্তবেই এমন কল্পনার মতো এক প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি কোম্পানি—ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার ব্যুরো লিমিটেড (NABL)। তাদের প্রস্তাবিত এই হাইস্পিড আন্ডারওয়াটার রেল প্রকল্পটি ভারতের মুম্বইকে সংযুক্ত করবে দুবাইয়ের ফুজাইরার সঙ্গে (Mumbai Dubai Underwater Train)। সমুদ্রের গভীরতা দিয়ে ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে চলবে অত্যাধুনিক ম্যাগলেভ ট্রেন, যার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১,০০০ কিলোমিটার। এই প্রকল্প সফল হলে, ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শহরগুলোকেও এতে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই মহাপ্রকল্পের মূল লক্ষ্য ভারত ও আমিরশাহির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও শক্তিশালী করা। ট্রেনের পাশাপাশি, এই টানেল দিয়ে দুবাইতে পানীয় জলের সরবরাহ এবং ভারতের বন্দর থেকে তেল রপ্তানির ব্যবস্থাও থাকবে। ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার ব্যুরো লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল শেহি জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুমোদন মিললেই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। শেখ হামদান বিন মহম্মদ আল মাকতুমের ভারত সফরের মধ্যেই আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে এই স্বপ্নের প্রকল্প।

আরও পড়ুন: গরম থেকে কবে মিলবে মুক্তি? বাংলা জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস

আধুনিক ম্যাগলেভ প্রযুক্তির ট্রেন চলবে কংক্রিটের টানেলের মধ্য দিয়ে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০-৩০ মিটার নিচে স্থাপিত হবে। চৌম্বক শক্তির মাধ্যমে ঘর্ষণহীন গতিতে ট্রেন চলবে, একপ্রকার বাতাসে ভেসে। ফলে মাত্র দুই ঘণ্টায় মুম্বই থেকে দুবাই পৌঁছানো সম্ভব হবে। বর্তমানে এই পথ বিমানে পাড়ি দিতে লাগে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা। এই প্রযুক্তি এর আগে সফলভাবে ব্যবহার করেছে জাপান ও চীন।

বিশ্বজুড়ে এর আগেও সমুদ্রের নিচে রেল প্রকল্পের উদাহরণ আছে, যেমন চ্যানেল টানেল যা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে যুক্ত করে। আমাদের দেশেও এমন উদ্যোগ দেখা গেছে—গঙ্গার নিচ দিয়ে কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তার অনন্য উদাহরণ। তবে মুম্বই-দুবাই রেলপথ হবে দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলির একটি।

এই প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচ হতে পারে ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কারণ চ্যানেল টানেলের ৫০ কিমি রুটে খরচ হয়েছিল ২১ বিলিয়ন ডলার। যদিও সমুদ্রে নির্মাণ হওয়ায় জমি অধিগ্রহণের সমস্যা নেই, তবে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সফল হলে, এটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও যাত্রাপথে।

দেখুন আরও খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular