কলকাতা: ৮ নভেম্বর দিনটি বিরোধীদের চোখে দেশের অর্থনীতির কালো দিন৷ পাঁচ বছর আগে আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন৷ ওই দিনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নোটবন্দির পঞ্চম বর্ষ পূর্তির দিন সেদিনের করা মমতার পাঁচটি টুইট ফের সামনে আনেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ নোটবন্দির সুফলের চেয়ে সাধারণ মানুষ যে দুর্ভোগে পড়বেন সেটা ওই দিনই বুঝে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেটা বোঝাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো টুইটগুলির স্ক্রিনশট দেন ডেরেক৷
আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় ফ্লয়েডের স্মৃতি উস্কে বুকে লাথি, চাকরি গেল সিভিক পুলিসের
৮ নভেম্বর ২০১৬৷ রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রীর নোটবাতিলের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মমতার প্রথম টুইট ছিল৷ ‘কঠোর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে৷’ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কখন ‘নাটক’ কখনও ‘ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা’ বলে ধারাবাহিক টুইটে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাফ লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গচ্ছিত বড়লোকদের কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে পারেননি বলেই এই নাটক করছেন৷ আরেকটি টুইটে লিখেছিলেন, এতে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে৷ দেশের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, ছোটো ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝে উদ্বেগ প্রকাশও করেছিলেন৷ লিখেছিলেন, আমিও কালো টাকা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ পরেরদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন কী করে?
On the night of 8 November 2016, barely hours after #Demonetisation was announced, only @MamataOfficial got it spot on.
Five tweets calling out the draconian decision. (Take a look) #Black_Day_Indian_Economy pic.twitter.com/zpdmkFnZZM
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) November 8, 2021
আরও পড়ুন: ছত্তীসগড়ে সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু চার আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানের, আশঙ্কজনক ৩
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নোটবাতিলকে ‘মনুমেন্টাল ডিজাস্টার’ বলে তোপ দেগেছিলেন৷ রাজ্যসভার ভাষণে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে দ্রুত গতিতে ছুটে চলা গাড়ির টায়ারে গুলি চালানোর সমান বলে তুলনা টেনেছিলেন৷ ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কালো টাকার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে নোটবাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেটা করতে গিয়ে বিরোধীদের থেকে তীব্র সমালোচনা জুটেছিল তাঁর৷ মন্ত্রিসভাকে এড়িয়ে মোদির এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন বিরোধীরা৷ নোটবাতিলের কোনও ইতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে আদৌ পড়েছে কিনা তা নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি৷ কালো টাকা উদ্ধার হয়নি৷ উল্টে দেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছিল৷