কলকাতা: শেক্সপিয়র সরণিতে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজই দিশা দেখাচ্ছে পুলিশকে। সেই ফুটেজ দেখেই খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। পুলিশের সন্দেহের তির চৌধুরী পরিবারের প্রাক্তন ড্রাইভারের দিকে। ঘটনার আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যে ৭টার সময় তিনি আসেন এবং ১২টা নাগাদ বেরিয়ে যান। প্রাক্তন ড্রাইভারের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতি পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহের রবিবারও ওই ড্রাইভার ওখানে এসেছিল। সে দিন তিনি রেকি করতে এসছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ড্রাইভারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কয়েক বছর আগে ওই ড্রাইভার চৌধুরী পরিবারের গাড়ি চালাত। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিস চুরির অভিযোগে তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুনরায় কাজে নেওয়ার জন্য ওই ড্রাইভার গত ৬ মাস ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন: Murder : বহুতলের ফ্লাটে খুনই হয়েছেন বৃদ্ধা, ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধের স্পষ্ট প্রমাণ
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ওই বৃদ্ধাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, সোমবার রাত ১২টার পরেই বৃ্দ্ধাকে খুন করা হয়েছে৷ ওই সময় ফ্ল্যাটে আর কে কে ছিলেন তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ৷ বৃদ্ধা রেণুকা চৌধুরী গা থেকে খোয়া গিয়েছে নেকলেস, হাতের চুড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন। আততায়ী কি জানত, এই ঘরে কেউ থাকবে না? তাহলে আততায়ী কি চেনা কেউ, যে গলা শোনা মাত্রই বৃদ্ধা দরজা খুলে দিয়েছিলেন। উঠছে নানা প্রশ্ন।
মঙ্গলবার সকালে শেক্সপিয়র সরণির থিয়েটার রোডে এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রেনুকা চৌধুরী (৯১) নামে ওই বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। এ দিন সকালে ছেলে মর্নিং ওয়াকে যান। ফিরে এসে দেখেন, তাঁর মায়ের রক্তাক্ত দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। ছেলে অভয় চৌধুরীর বয়ান অনুযায়ী, ঘরের দরজা খুলে তিনি ঢুকে দেখেন তাঁর মা পড়ে রয়েছেন। নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। বিছানা লন্ডভন্ড। মাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছেলের।
আরও পড়ুন: বহুতলের ফ্ল্যাটে বৃদ্ধার মৃত্যুতে রহস্য, খোয়া গেছে বহু দামি জিনিস, দাবি ছেলের