কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হলে আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংঘটিত হবে। তার আগে তৃণমূলের আইটি সেলের (TMC IT Cell) পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি জেলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই দলের পদে থেকে ও প্রশাসনিক পদে থেকে সাধারণ মানুষের কাজ না করার জন্য বেশ কয়েকজন প্রধান সহ প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তৃণমূলে সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সূত্রের খবর, তৃণমূল দুর্নীতিকে কোনমতেই প্রশ্রয় দেবে না, অতি দ্রুত বৈঠক ডেকে জেলা সভাপতিদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ অভিষেকের। সবচেয়ে বেশি পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই তালিকায় তারপরই রয়েছে হুগলি।
ইতিমধ্যেই তৃমমূলের আইটি সেলের (TMC IT Cell) পক্ষ থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গে নিরবে বেশকিছু দলীয় নেতৃত্বের উপর নজরদারি চালিয়েছেন। সেই নজরদারি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। হুগলির আরামবাগ জেলার সাংগঠনিক সভাপতি রামেন্দ্র সিংহ রায়কে ইতিমধ্যেই দলের আট জন তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করে সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। যে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই রিপোর্ট অতি দ্রুত জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১২ জন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। উত্তরবঙ্গের সাত জেলা থেকে প্রায় ৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এই অভিযোগগুলি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সভাপতিদের কাছে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সেগুলি বৈঠকের মাধ্যমে মিটিয়ে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:CV Ananda Bose: নিরাপত্তা বাড়ল বাংলার রাজ্যপালের, জেড প্লাস ক্যাটেগরি বরাদ্দ কেন্দ্রের
যদি জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে রাজ্য নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
২০২৩-এর মে-জুন মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন গ্রামে রাত্রিযাপন। অর্থাৎ দিদির দূত হিসেবে তারা প্রায় ৩৩০০ গ্রামে পাঁচজন বাছাই করা কর্মীকে নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।
অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি সামনে এসেছে যাতে তার পুনরাবৃত্তি নতুন করে না হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে এই ব্যবস্থা। দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোভ সম্বরন করে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যাতে দলকে নতুন করে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ শুনতে না হয়, তাই তৃণমূলের এই বিশেষ কর্মসূচি। তার ফলস্বরূপ জেলা নেতৃত্বকে অতি দ্রুত অভিযোগ খতিয়ে দেখে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।