কলকাতা: আগামী দু’মাসের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ সব পুরসভার ভোট করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)৷ সূত্রের খবর, দু’দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হবে৷ প্রথম দফায় হবে বকেয়া সব পুরনিগমের (Pending Corporation’s Election) ভোট৷ দ্বিতীয় দফায় হবে বাকি সব পুরসভার নির্বাচন (Pending Municipal Election)৷ এই বিষয়ে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হয়৷ কোভিড-ওমিক্রন, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এই সব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে দিনক্ষণও ঠিক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও সূত্রের খবর, বকেয়া সব পুরনিগমের ভোট জানুয়ারিতে হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুলি পুরনিগমের ভোট শেষ হওয়ার পরই বকেয়া পুরসভাগুলোতে নির্বাচন হবে৷ দুই দফা ভোটের মাঝে ২৮-৩০ দিনের ব্যবধান রাখতে চায় কমিশন৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নবান্ন বকেয়া সব পুরসভার নির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে৷ কমিশন দু’দফায় ভোট করাতে চাইছে কারণ, প্রথম দফা ভোটের পর কোভিড-ওমিক্রন নিয়ে পরিস্থিতি কী থাকে তা বুঝতে পারবেন কমিশনের কর্তারা৷ তাছাড়া ভোট করাতে গেলে যত ইভিএম লাগবে সেই ইভিএমের হিসেব-নিকেশও করে রাখতে চাইছে কমিশন৷
আরও পড়ুন: হলদিয়ার আগুনে জখমদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড, ঝলসে গিয়েছে দেহের পঁচাত্তর শতাংশ
এর আগে কলকাতা পুরভোট নিয়ে মামলার শুনানির সময় হাইকোর্ট রাজ্যকে দ্রুত বকেয়া পুরসভার নির্বাচন শেষ করার কথা জানিয়েছিল৷ এই সমস্ত পুরসভাগুলির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য সে সময় নির্বাচনে যেতে পারেনি রাজ্য৷ তখন মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির মাথায় প্রশাসক বসিয়ে নাগরিক পরিষেবা দিতে থাকে পুরসভাগুলি৷ বকেয়া পুরসভাগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া এবং বালি৷ সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় হাওড়া ও বালি পুরসভা সংশোধনী বিলে সই করে দিলে ওই দুই পুরসভার ভোটও সে সময় করে ফেলবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ যদি রাজ্যপাল সই না করেন তাহলে ওই দুই পুরসভাকে বাদ রেখেই নির্বাচনে যাবে রাজ্য৷
