বোলপুর: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) হেনস্তা, অপমানের প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামল সামাজিক মর্যাদা রক্ষা কমিটি। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রিতীচি থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে উপস্থিত বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তনী, প্রবীণ আশ্রমিক ও তাঁদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন বোলপুরের সাধারণ মানুষও।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Visva Bharati Vice Chancellor Bidyut Chakraborty) অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্বভারতী তরফে তিনবার চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত চেয়েছে বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। অভিযোগ, উপাচার্য জোরপূর্বক অমর্ত্য সেনকে জমি (Land Controversy) ছাড়তে বাধ্য করাচ্ছেন, এর প্রতিবাদে মূলত এই প্রতিবাদ মিছিল। বিভিন্ন ধরনের কবিতা, আবৃত্তি, নাটক ও মিছিল করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ সংক্রান্ত সেই নোটিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথে হেঁটেছে বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। শুক্রবার থেকে শান্তিনিকেতনে লাগাতার কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে সেখানকার পরিবেশ ও কাজকর্ম নষ্ট হচ্ছে। উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের প্রাণহানির আশঙ্কা, শান্তিনিকেতনের আশ্রম প্রাঙ্গণও অসুরক্ষিত। এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের তরফে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা চেয়ে বোলপুরের মহকুমা শাসক ও শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল বিশ্বভারতী। এরপরই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতন চত্বরে করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঐতিহ্যমন্ডিত জায়গা গুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়। নোটিসে বলা হয়েছে, “অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর মোট ১ দশমিক ৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। এর মধ্যে আইনগতভাবে তাঁর জমির পরিমাণ ১ দশমিক ২৫ একর।” বাকি জমি তাঁকে ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অমর্ত্য সেনকে দিনের পর দিন হেনস্থা করে যাচ্ছেন। একজন ভারতরত্ন, বর্ষিয়ান অর্থনীতিবিদ, নোবেল জয়ী বিশ্ববরণ্যেরখ্যাত মানুষকে এভাবে হেনস্থা করার প্রতিবাদে এবার পথে নামল শান্তিনিকেতনবাসী।