কলকাতা: দার্জিলিং নিয়ে গণভোটের (Referendum) দাবি তুললেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা । সোমবার বিধানসভায় (Assembly) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক সরকার পক্ষের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমাদের দিকে আঙুল তুলছেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) সঙ্গে আপনারা হাত মিলিয়ে জোট করেছিলেন। অনন্ত মহারাজকে (Ananta Maharaj) আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) ভাইফোঁটা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী সম্পর্ক, উত্তর দিন।
বিষ্ণু শর্মা বলেন, আমি বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে যা বলেছি, সেটা আমার কথা নয়। এটা মানুষের কথা। সেখানকার লোক কী চায়, সেটা দেখা হোক। তৃণমূল কী চাইছে, বিজেপি কী চাইছে, সেটা বিষয় নয়। মানুষ কী চাইছে সেটাই আসল কথা। স্বাধীনতার পর পাঁচের দশকে দার্জিলিং (Darjeeling) বাংলার সঙ্গে যুক্ত হয়।
দলীয় বিধায়কের এই দাবি সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (BJP Vice President) দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, বাংলা ভাগের কথা আমরা কখনও বলিনি। যিনি বলেছেন, তিনি দলের কোনও সাংবিধানিক দায়িত্বে নেই।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy Final 2023: ফুলের জলসায় নীরব কেন তুমি বাংলা
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এই প্রস্তাব তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ডা। ২০২১ সালে বাঙালি অবাঙালি করে একটা অংশের ভোট নিতে চেয়েছে তৃণমূল। মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে।
এদিন বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনেন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বর্মণ। সেই প্রস্তাবে বলা হয়, কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বঙ্গভঙ্গ করার সমস্ত অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এই সভা এই ধরনের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই ধরনের একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। তখন বিধানসভায় বিজেপির সদস্য ছিল মাত্র ৩। বিরোধী আসনে ছিল বাম এবং কংগ্রেস। তখন ওই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়ে যায়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইংরেজ আমল থেকেই বাংলা ভাগের চক্রান্ত চলছে। বাংলাকে ভাগ করতে গিয়ে দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তার পিছনে ছিল আরএসএস। আমরা কিছুতেই বাংলা ভাগ করতে দেব না। দরকার হলে আমরা মৃত্যুবরণ করব।