জলপাইগুড়ি: গত ১ এপ্রিল কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন জলপাইগুড়ির এক সমাজসেবী দম্পতি। ওই ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও। এই ঘটনায় পুলিশের তদন্তে মোটেই সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, এই মামলার তদন্তে নানা ত্রুটি রয়েছে। এই তদন্তে সঠিক দিশা দিতে তাই রাজ্য পুলিশের দক্ষ অফিসারকে মাথায় রেখে সিট গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, দু’মাসের মধ্যে সিটকে তদন্ত শেষ করতে হবে। ২৯ জুন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। এদিন রাজ্য সরাকর আদালতে ৬ জন অফিসারের নাম জমা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাজসেবী অপর্ণা ভট্টাচার্য কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন। ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সুবোধের দিদি।
আরও পড়ুন: Calcutta Highcourt | পুরনিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
অভিযোগ, জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, মনুময় সরকার, সোনালী বিশ্বাস এই চার জন প্রতিনিয়ত মৃত অপর্ণা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। চার পাতার সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য।
সুইসাইড নোট হাতে পেয়ে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে এই চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সৈকত চ্যাটার্জি এক জন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, সে কারণে পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তুলে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট ব্রেঞ্চে একটি মামলা করেন৷