কলকাতা: রাজ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই, অভিযোগ তুলল বিজেপি৷ পাশাপাশি, তাদের অভিযোগ, রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানের এই সংঘাত নজিরবিহীন৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক৷
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমেই চরম মাত্রা নিয়েছে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারকে প্রশ্ন করায় এবং রাজ্যপালের প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় সেই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিয়েছে৷ এদিন সেই কথা তুলেই বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করলেন, রাজ্য সরকার রাজভবনের অস্তিত্বই মানতে চায় না৷ যেভাবে প্রকাশ্যে একজন পুলিস সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী ভর্ৎসনা করলেন তা নিন্দনীয়৷ প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷’
শমীকের আরও দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পরিচালিত হচ্ছে৷ এটি রাজ্য সরকারের একটি দফতরে পরিণত হয়েছে৷ রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই৷ বিজেপি মুখপাত্রের কথায়, রাজ্যে গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত হয়েছে৷ ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল ভোট লুট করছে৷ যেভাবে গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তা দেখেই স্পষ্ট, তৃণমূলের আসল ছবিটা৷
আরও পড়ুন: Jay Prakash Majumdar: বর্তমান নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপিকে তুলে দিতে চাইছে, ফের বিস্ফোরক জয়প্রকাশ
এদিন রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল৷ যেখানে দাবি করা হয়, পরিবারতন্ত্রকে প্রশয় দেওয়া হচ্ছে না বলে৷ সেই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে বড় পরিবারতান্ত্রিক দল৷ কিভাবে পরিবারের মধ্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে সেটা সবাই দেখেছেন৷ যদিও কাকে তৃণমূল প্রার্থী করছে, কাকে করছে না, কী নীতিতে চলছে সে সবই অন্য একটি দলের ব্যক্তিগত বিষয়৷ তাতে বিজেপির হস্তক্ষেপ করছে ইচ্ছুক নয়৷
বিজেপি মুখপাত্রের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বলা তৃণমূল সরকার যেভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে ব্যবহার করছেন তা খুবই নিন্দনীয়৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন৷ এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটা হতাশাজনক দিক৷ পাশাপাশি, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনে বকা-ঝকা করতে পারেন বলেও মত প্রকাশ করে শমীকের অভিযোগ, এই আলোচনা বন্ধ ঘরে হওয়া উচিৎ৷ প্রশাসনিক প্রধান যদি প্রশাসনিক কোনও কর্তাব্যক্তিকে জনসমক্ষে ভর্ৎসনা করেন বা কোনও কটুক্তি করেন তা আদতে রাজ্যের প্রশাসনিক দুর্বলতা প্রকট করে৷ এবং প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অপমান ছাড়া এটা আর কিছুই নয়৷