রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন দিল্লি থেকে আসা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দুই পর্যবেক্ষক। কিন্তু দলের বিধাযকদের মেজাজমর্জি বুঝে শেষে হাল ছেডে় দিয়ে সোমবার দিল্লি ফিরে যান মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেন। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নাম চৃড়ান্ত করার জন্য অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটের সঙ্গে আলোচনার ভার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেন গেহলট।
পাশাপাশি কংগ্রেস সূত্রে খবর, মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠকে অবশ্য দলের বিধায়কদের ওই বিদ্রোহ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। আর তিনি জানিয়ে দেন, বিধায়কদের ওই বিদ্রোহে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। যদিও মল্লিকার্জুন খাড়গের মত নেতারা গেহলটকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই বিদ্রোহে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই একথা মানতে নারাজ হাইকম্যান্ড। এদিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার কেরল থেকে দিল্লি আসেন কে সি বেণুগোপাল। তিনি খাড়গে আর মাকেনদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হতে হলে অশোক গেহলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে গত সপ্তাহে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর এআইসিসি নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেন রবিবার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করার জন্য বিধায়কদের মত জানতে জয়পুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু গেহলট অনুগামীরা তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামী মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে আলাদা বৈঠক করেন।
পরবর্তী পদক্ষেপে আরও কড়া বার্তা দেন গেহলট অনুগামী ওই বিধায়করা। স্পিকার সিপি জোশীর বাড়ি গিয়ে অন্তত ৮২ জন গেহলট অনুগামী বিধায়ক ইস্তফা দেন বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হলে দল ছাড়ারও হুঁশিয়ার দেন ওই বিধায়করা। ক্ষুব্ধ মাকেন সোমবার গেহলট গোষ্ঠীর এই পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে ‘দলবিরোধী’ বলেন।