গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (Global Hunger Index)-এ আরও ছয় ধাপ পিছল ভারত (India)। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সূচকের নিরিখে ভারতের ব়্যাঙ্ক এখন ১২১-এর মধ্যে ১০৭ নম্বরে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের কথা বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের পিছনে চলে গিয়েছে ভারত। এমনকি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশও ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বে যেভাবে ক্ষুধার পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন, তাকে গুরুতর উদ্বেদের বিষয় বলে আখ্যা দিয়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সের প্রকাশক সংস্থা। ইউরোপীয় এনজিও’র দেওয়া ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের স্কোর ২৯.১।
জিএইচআই (GHI) স্কোর চারটি উপাদান সূচকের মানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় – অপুষ্টি (undernourishment), শিশুর অপরিণত বৃদ্ধি (child stunting), শিশু অপচয় (Child wasting) এবং শিশু মৃত্যু (child mortality)। অপুষ্টি হল পরিমাণ মতো ক্যালোরি গ্রহণ না করা। চাইল্ড স্টান্টিং হল পাঁচ বছরের নিচের শিশুর বয়স অনুযায়ী ঠিক মতো উচ্চতা বৃদ্ধি না হওয়া, এর কারণ হল দীর্ঘ অপুষ্টি। শিশু অপচয় হলো পাঁচ বছরের নিচের শিশুর উচ্চতা ও কম ওজন।
আরও পড়ুন: Amit Shah: অমিত শাহের বাড়িতে ঢুকল সাপ, তারপর…
বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সূচকের তালিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফ (UNICEF), বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank), ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) সহ রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN) এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংস্থার দেওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো যে সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলিকে (neighbouring countries) ভারত সাহায্য করে, ক্ষুধার তালিকায় তারাও এগিয়ে রয়েছে ভারতের তুলনায়। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল ও মায়ানমারের ব়্যাঙ্ক যথাক্রমে ৯৯, ৬৪, ৮৪, ৮১ এবং ৭১। অবাক হওয়ার মতো বিষয়, ভারতের স্কোর যেখানে ২৯.১, সেখানে ব়্যাঙ্কিয়ে ১ থেকে ১৭ নম্বর স্থানে থাকা দেশগুলির স্কোর পাঁচের নিচে রয়েছে।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের নিচে থাকা দেশ হল জাম্বিয়া, আফগানিস্তান, টিমোর-লেস্টে, গিনি-বিসাউ, সিয়েরা লিওন, সেসোথো, লাইবেরিয়া, নাইজের, হাইতি, চাদ, কঙ্গো, মাদাগাস্কার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং ইয়েমেন। প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে গিনি, মোজাম্বিক, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া সহ ১৫টি দেশকে ব়্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি পর্যাপ্ত ডেটার অভাবে।