পীযূষকান্তি নাগ: বিশাল নথির পাহাড় খতিয়ে দেখতে প্রচুর সময়ের প্রয়োজন। তাই বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়। শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি শুরুতেই এ কথা জানিয়ে দিলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
এদিন বিচারকদের একটি সম্মেলনে বিভিন্ন আলোচনার বিষয়বস্তু আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের সামনে তুলে ধরেন বিচারক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সম্মেলন চলাকালীন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নিম্ন আদালতের রায়দানের কথা তুলে ধরা হয়। সম্মেলনের উদ্যোক্তারা ভারতের বিচার ব্যবস্থার উন্নতির কথা তুলে ধরেন। সেই সময় এক বিচারক দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ার মুল কারণ বিপুল পরিমাণ নথি খতিয়ে দেখার সমস্যা। এই প্রসঙ্গে তিনি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য মামলার উদাহরণ দেন।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: সাহস থাকলে লিখিত দিন, তারপর বুঝে নেব, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে হুমকি কল্যাণের
বিচারক জানান, সেই সময় সম্মেলনে হাজির ছিলেন লালুর মামলার বিচারক। তিনি বলেন, ওই মামলায় আট ট্রাক ভর্তি নথি জমা হয় কেস ডায়েরির সঙ্গে। সেই নথি খতিয়ে দেখেই তাঁকে মামলার রায় দিতে হয়েছিল।
একইরকম ভাবে কয়লা-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সিবিআই ৪১ জনের নামে ৪১টি চার্জশিট জমা দিয়েছে। তদন্ত চলছে। আরও চার্জশিট জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব চার্জশিটের সঙ্গে সিবিআই যে সব নথি বাজেয়াপ্ত করেচে, সেগুলিও খতিয়ে দেখতে হবে বিচারককে। শুধু তাই নয়, সমস্ত সাক্ষীরও সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন বিচারক চক্রবর্তী। এর ফলে কয়লা-কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে এদিন জানান অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।