পুরুলিয়া: গতকাল স্কোর ছিল ৪১ ডিগ্রি৷ মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গেল ৪২ ডিগ্রির ঘরে৷ গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো যোগ হয়েছে তাপপ্রবাহ৷ রোদ চশমা, মাথায় ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোলেও সারা শরীর যেন জ্বলে যাচ্ছে৷ তীব্র গরম বাড়িয়ে দিয়েছে জলের সমস্যা৷ গ্রীষ্মের শুরুতেই এই অবস্থা দেখে আগামী দিনগুলোর কথা ভেবে আঁতকে উঠছেন পুরুলিয়ার মানুষ৷
রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাসিন্দা সঞ্জয় কুম্ভকার৷ তিনি জানিয়েছেন, গরম পড়তেই জলের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে৷ পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে৷ স্নান করা যাচ্ছে না৷ গবাদি পশুরা জল পাচ্ছে না৷ এবার তাপমাত্রা বড্ড বেশি৷ সবে তো গরমের শুরু৷ টিভিতে যা দেখলাম, তাতে তো গরম আরও বাড়বে৷ সবাই দুশ্চিন্তায়৷
প্রচণ্ড গরম হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়৷ তাই শরীর সুস্থ রাখতে চড়া রোদে বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা স্বরূপ রায় জানিয়েছেন, কী করব কাজে তো বেরতে হবে৷ গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম হাত, মুখ পুড়ে গিয়েছে৷ অন্যান্য বছরের থেকে এবার অনেক বেশি গরম পড়েছে৷ আগের বছরগুলোতে তাও বৃষ্টি হয়৷ কিন্তু এখন বৃষ্টির দেখা নেই৷ গরম থেকে বাঁচতে স্বরূপ ঢুকে পড়েন একটি পানীয়ের দোকানে৷ তাঁর মতোই দোকানে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতারা৷ শরীর ঠান্ডা রাখতে জল ও ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন সবাই৷ গুমোট গরম থেকে রেহাই পেতে মাথায় গামছা বেঁধে বাইরে বেরোচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷
আরও পড়ুন: Bally Fire: অত্যধিক এসির চাপে মাঝ রাতে আবাসনের মিটার বক্সে আগুন, ফ্ল্যাটবন্দি আবাসিকরা
সোমবারই পশ্চিমের সব জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে৷ বাঁকুড়ায় রেকর্ড গড়ে সোমবারের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ পুরুলিয়া, বীরভূম, দুর্গাপুরেও ৪১ ডিগ্রির উপর ছিল তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল রাজ্যবাসী। এমন পরিস্থিতিতে একটু বৃষ্টির জন্য হা পিত্যেস হয়ে আকাশে চেয়ে সবাই৷ কিন্তু হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৮ তারিখ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলবে৷ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই৷