উত্তর কোরিয়া: চরম খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। এরই মধ্যে দেশের সর্বাধিনায়ক কিম জং উন (Kim Jon Un) সরকারি কর্মকর্তাদের শস্য উৎপাদনের উপর অগ্রাধিকার দিতে বললেন। একইসঙ্গে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক রূপান্তর (Fundamnetal Transformation) ঘটাতে হবে বলেও ফতোয়া দিয়েছেন। সোমবার শাসকদল ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় কমিটির সপ্তম প্ল্রেনারি অধিবেশনে কিম একথা বলেন, এমনটাই জানাচ্ছে সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএন।
ওই খবরে অবশ্য খাদ্য সংকট ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার বিস্তারিত ব্যাক্ষা দেওয়া হয়নি। তবে কিম জানিয়েছেন আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতেই হবে। গবেষকদের মতে,উত্তর কোরিয়ায় যৌথ কৃষি খামার একটা বিশাল ভুমিকা নিয়ে থাকে। এই খামারের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র চাষিরা জীবনধারণ করে। এমন একটা সময়ে কিম দলীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন, যখন দেশে খাদ্য সংকট ক্রমশই বাড়ছে। যদিও শাসক গোষ্ঠী তা মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন:Apple: গত ১৯ মাসে ভারতে ১ লক্ষ চাকরি দিয়েছে অ্যাপল, বলছে সমীক্ষা
চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট ক্রমশ্য অবনতির দিকে এগোচ্ছে। এর আগে কখনও কৃষি ক্ষেত্রে কৌশল ঠিক করার জন্য কখনও এধরনের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হয়নি। সোমবারের সভায় কিম বলেন, সামাজিক সংস্কারের জন্যই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন হলে কোঠরও হতে হবে। কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান দিতে এবং আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করতে কিম বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে কিমের দেশ একটি কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। কোভিড-১৯ এর লকডাউনের কারণে দেশে অর্থনীতি আরও খারাপ হয়েছে।
এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট কোন পর্যায়ে আছে, তা এখনও খুব পরিষ্কার নয়। তবে গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকা ভিত্তিক একটি প্রোজেক্ট রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই দেশের খাদ্য সংকট খুবই খারাপ অবস্থায়। ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পরে উত্তর কোরিয়া খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছিল। তবে এখন তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে খাদ্য সংকটের হাল। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মজুত খাদ্যের পরিমাণ সম্ভবত মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে অনেক নীচে নেমে এসেছে। দেশটির প্রতিকুল আবহাওয়া এবং কুটনৈতিক দ্বন্দ্ব এই খাদ্য সংকটের জন্য অনেকাংশেই দায়ী।