খানাকুল: ফের খানাকুল (Khanakul) থানার ওসি (OC) সুমন কুন্ডুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। এবার খানাকুল থানার ওসির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল (TMC) পরিচালিত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রতিমা বোদক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে হুগলির (Hoogly) খানাকুলে।।
প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, খানাকুল থানার ওসি (OC) সুমন কুন্ডু তল্লাশির নামে গ্রিল ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন এবং শ্লীলতাহানি করেছেন। ঘটনার সময়ে তিনি ছাড়াও বাড়িতে ছিলেন তাঁর মেয়ে ও বৃদ্ধা শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: Jharkhand Snatching: ছিনতাইয়ে বাধা, দুষ্কৃতীদের হাতে খুন মহিলা
বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রতিমা বোদক ওসির বিরুদ্ধে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO), খানাকুল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মহকুমাশাসক ও আরামবাগ মহকুমা পুলিশ (police) আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আত্মহত্যা (suicide) করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন প্রতিমাদেবী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার রাতে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে খানাকুলের হরিশচক এলাকায়। এক বিজেপি (BJP) কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে প্রতিমাদেবীর স্বামী বিজয় বোদকের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর সোমবার (Monday) রাতেই খানাকুল থানার পুলিশ বাহিনী তল্লাশির নামে গ্রিল ভেঙে প্রতিমাদেবীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে পুলিশ। কোনও মহিলা পুলিশও ছিল না।
খানাকুল ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দুখিরাম দলুই বলেছেন, ওসি যেভাবে মহিলা বনভূমি কর্মাধ্যক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। প্রতিমাদেবী নিজেকে কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে জানানোর পরেও তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। পুলিশি (Police) অত্যাচারের শিকার প্রতিমাদেবীর ১৮ বছরের মেয়েও। ওঁরা এখনও আতঙ্কিত। খানাকুলের মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO) শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক ঘটনা। পঞ্চায়েত সমিতির অত্যন্ত সক্রিয় বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রতিমাদেবী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর আগেও খানাকুলের ওসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশকর্তারা।